প্রসঙ্গত, পৃথক রাজ্যের দাবিতে বিক্ষোভের জেরে গত বুধবার থেকেই অশান্ত হয়েছিল লাদাখ। ওই অশান্তির মাঝেই চার জনের মৃত্যু হয়। জখম হন বহু। এই ঘটনার পরেই শুক্রবার ওয়াংচুককে গ্রেফতার করে লাদাখ পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করা হয়। গ্রেফতারির পরে লাদাখের বাইরের একটি জেলে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। বর্তমানে রাজস্থানের জোধপুরের একটি জেলে রাখা হয়েছে এই পরিবেশকর্মীকে। শনিবার লাদাখের ডিজিপি জানিয়েছেন, ওয়াংচুকের জন্যই গত বুধবার ওই অশান্তি ছড়িয়েছিল।
advertisement
তাঁর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শনিবার লাদাখ পুলিশের ডিজিপি বলেন, “তদন্তে যা পাওয়া গিয়েছে, তা এখনই প্রকাশ্যে আনা যাবে না। তদন্ত প্রক্রিয়া এখনও চলছে। আপনারা চাইলে তাঁর প্রোফাইল এবং অতীত জানতে চান, তা সবটাই ইউটিউবে রয়েছে।” ওয়াংচুকের বিভিন্ন বক্তব্য পরিস্থিতি অশান্ত করতে মদত দিয়েছিল বলেও দাবি পুলিশের। লাদাখের ডিজি এ প্রসঙ্গে মন্তব্যের সময় নেপাল, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার অস্থিরতার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। পুলিশের বক্তব্য, এ সব বিষয়ে কথা বলার সময়ে ওয়াংচুকের বক্তৃতা উসকানির কাজ করেছিল। ইতিমধ্যেই তিনি পাকিস্তান গিয়েছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়াও তাঁর বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ডিজিপি।