আরও পড়ুনঃ বছরের শেষে উত্তরবঙ্গে পর্যটকের ভিড়, যাত্রীদের জন্য চালু স্পেশ্যাল ট্রেন
তিনি আরও বলেন ‘প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে রাজ্য সরকারও স্বচ্ছতার সঙ্গে জনকল্যাণে কাজ করছে। গত ১৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনজাতি গৌরব দিবস উদযাপনের দিন ঝাড়খন্ড থেকে সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবা সমূহের তথ্য সমৃদ্ধ ভ্রাম্যমান প্রচার বাহনের সূচনা করে দেশব্যাপী বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সূচনা করেছিলেন। এই যাত্রার লক্ষ্য হচ্ছে সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারি প্রকল্পের সুযোগ ও সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা সুনিশ্চিত করা।’
advertisement
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার পাশাপাশি রাজ্য সরকার প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযান কর্মসূচিও শুরু করেছে। এই অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে, যোগ্য অথচ এখনও পর্যন্ত যারা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাননি, তাঁদের চিহ্নিত করে সেই প্রকল্পগুলির সুবিধা পৌঁছে দেওয়া। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর প্রধানমন্ত্রী বহু জনকল্যানমূলক প্রকল্প চালু করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা, প্রধানমন্ত্রী স্ব-নিধি প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি, আয়ুম্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সৌভাগ্য যোজনা, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুকন্যা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা, প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা, স্মার্ট সিটি মিশন, জল জীবন মিশন, প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি যোজনা ইত্যাদি। এই সমস্ত প্রকল্পে সমাজের সমস্ত অংশের মানুষ কোন না কোনো ভাবে উপকৃত হচ্ছেন। সুবিধাভোগীদের মধ্যে এই সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা ১০০ শতাংশ পৌঁছাতে পারলেই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা সফল হবে।’
এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এর পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার সুবিধা পেয়েছেন এমন কয়েকজন সুবিধাভোগীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করেন।