দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ২৮১৷ মাত্র ২৪ ঘণ্টায় একলাফে ৭০৪ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে৷ দেশে টেস্টের পরিমাণও বেড়েছে৷ ফলে যত টেস্ট বাড়ছে, সংখ্যাটাও বাড়ছে লাফিয়ে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৮৫১৷ ৩১৮ জনের করোনা ভালো হয়ে গিয়েছে৷ তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে৷
advertisement
সোমবার সন্ধে ৬টায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়, মাত্র ২৪ ঘণ্টাতেই ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়৷ এর মধ্যে ২১ জনই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৩৷
সোমবার সন্ধ্যায় তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলাখুলি আবেদন জানান, ১৪ এপ্রিলের পরেও লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে৷ কারণ, দেশের অর্থনীতির চেয়েও প্রাণে বাঁচা বেশি জরুরি৷ তাঁর কথায়, 'আমি প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, কোনও রকম চিন্তা না-করে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হোক৷ করোনা সংক্রমণ রুখে দেওয়ার এটাই একমাত্র পদ্ধতি৷ নইলে আমেরিকা, স্পেন বা ইতালির মতো অবস্থা হবে৷ লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি মার খাচ্ছে৷ কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতিকে ফের চাঙ্গা করা যায়৷ ৬ মাস থেকে ১ বছর লাগবে৷ অর্থনীতি আমরা ফেরাতে পারব, কিন্তু মৃত্যু নয়৷ মানুষের জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই৷'
একই প্রস্তাব আসে উত্তরপ্রদেশ থেকেও৷ যোগীর রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছে৷ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব আর কে তিওয়ারির বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশ যতদিন না করোনা-মুক্ত হচ্ছে, ততদিন লকডাউন থাকা উচিত৷
News18-কে সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, সরকারের আরও একটি প্রস্তাব রয়েছে৷ তা হল, দেশের যে সব জায়গা বা রাজ্য করোনা ভাইরাসের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা জায়গাগুলিতেই সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে৷ সে ক্ষেত্রে এরকম বেশ কয়েকটি প্রস্তাব এসেছে রাজ্যগুলি থেকে৷ তা নিয়ে আলোচনা চলছে৷
বিশ্বের নিরিখে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ মৃতের সংখ্যা ৭২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে৷