বক্সার ও রাউতপুরের গঙ্গার চরের বালিতে লাইন দিয়ে পোঁতা হয়েছে মৃতদেহ। সেখান থেকে কয়েকটি মৃতদেহ খুবলে খেয়েছে শিয়াল, কুকুর। বেশ কয়েকটি মৃতদেহ বালির চর থেকে টেনে নিয়ে গিয়েছে কুকুর, শিয়ালের দল। জলের তোড়়ে বেশ কয়েকটি মৃতদেহের অংশাবশেষ বেরিয়ে পড়েছে। আর তার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এক মাসে তিনশোটি মৃতদেহ। সংখ্যাটি ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতোই। স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, গত এক মাসে রোজ গড়ে ১০-১২টি করে মৃতদেহ ওই বালির চরে এনে পোঁতা হয়েছে। ওই এলাকার শ্মশানে রোজ দুই থেকে তিনটি মৃতদেহ দাহ করার মতো পরিকাঠামো রয়েছে। ফলে এত মৃতদেহ স্থানীয়রা গঙ্গার চরে এনে পুঁতে দিয়েছিল। কেউ কেউ বলছেন, ওই এলাকায় অনেকেরই এখন কাঠ কেনার মতো সামর্থ নেই। তাই প্রিয়জনদের দেহ দাহ না করে মাটিতে পুঁতেছে তাঁরা।
advertisement
ফতেপুর, রায়বেরেলি ও উন্নাও জেলায় গত এক মাসে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ মৃতের শরীরের কোভিডের উপসর্গ ছিল। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি ও ঠাণ্ডা লাগার মতো সমস্যা নিয়ে অসুস্থ ছিলেন অনেকেই। তবু স্থানীয়রা করোনার অস্তিত্ব সেখানে মানতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, অন্য কোনও রহস্যজনক রোগে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের অবশ্য দাবি, কোনও অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ প্রাণ হারায়নি। প্রত্যেকের শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল।