দিল্লি থেকে মুম্বই যাওয়ার উদ্দেশে উড়েছিল বিমানটি। কিন্তু উড়ানের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মাঝআকাশে হঠাৎ কিছু একটা অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে। বিমানের ভেতরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বুঝে পাইলট দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন এবং তৎক্ষণাৎ জরুরি অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। সেই কারণেই বড়সড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়। সোমবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে এই ঘটনাকে ঘিরে যাত্রী ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে উৎকণ্ঠা। সাম্প্রতিক আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার স্মৃতি ফের একবার মনে পড়ায় আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে—হঠাৎ কী এমন ঘটেছিল যে যাত্রীরা এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন?
advertisement
আসলে কী হয়েছিল?
এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI-887 দিল্লি থেকে মুম্বই যাওয়ার পথে যান্ত্রিক সমস্যার মুখে পড়ে। সোমবার সকালে উড়ানের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানের যন্ত্রে ত্রুটির ইঙ্গিত পাওয়া যায়। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর (SOP) অনুযায়ী পাইলট কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বিমানটি দিল্লিতে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। পরে বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে এবং যাত্রী ও ক্রু সদস্যদের নিরাপদে নামানো হয়।
কীভাবে বিপদের মুখে পড়েছিল যাত্রীদের প্রাণ?
বিমানটিতে প্রায় ৩৩৫ জন আরোহী ছিলেন। সূত্রের খবর, উড়ানের পর ইঞ্জিন নম্বর ২-এর তেলের চাপ আচমকাই শূন্যে নেমে যায়। বিষয়টি বুঝেই পাইলট জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন এবং দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে জানানো হয়। জরুরি অবতরণের খবরে বিমানবন্দরে প্রস্তুতি শুরু হয়। যদিও অল্প সময় আকাশে থাকার পর বিমানটি নিরাপদে নামায় সকলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। তবে হঠাৎ ফিরে আসায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।
এয়ার ইন্ডিয়া কী বলেছে?
এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র জানান, SOP মেনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই বিমানটি দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা হয়। বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করেছে এবং সমস্ত যাত্রী ও ক্রু সদস্য সুস্থ আছেন। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য যাত্রীদের কাছে সংস্থা দুঃখপ্রকাশ করেছে। দিল্লিতে অবতরণের পর গ্রাউন্ড স্টাফরা যাত্রীদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দেন এবং মুম্বই পৌঁছনোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে যাত্রীদের অবস্থা কী?
এয়ারলাইন সূত্রে জানানো হয়েছে, বিমানের প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা চলছে। ইঞ্জিনিয়ারিং টিম পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। দিল্লির গ্রাউন্ড টিম যাত্রীদের সহায়তা করছে এবং যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংস্থার দাবি, যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
হায়দরাবাদে আতঙ্ক কেন?
এদিকে ২২ ডিসেম্বর রাত প্রায় ১২টার দিকে হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে একটি ই-মেল আসে, যেখানে আমস্টারডাম-হায়দরাবাদগামী কেএলএম এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে বোমা থাকার হুমকি দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে সতর্ক করা হয়। রাত ১টার কিছু পরে বিমানটি রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে যাত্রী ও বিমান—দুটিকেই স্ক্রিনিং করা হয়। পুরো পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে থাকে।
