প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে দুই জায়গায় লুটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়েই সেক্টর ২৯ থানার পুলিশ ও সিআইএ (ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং চলছে।
advertisement
পানিপথের সেক্টর ২৯, জিটি রোড-এ রাজু কাদিয়ান অ্যান্ড কোম্পানি নামে একটি মদের দোকান রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে নিম্বরি গ্রামের বিক্রম নামের এক সেলসম্যান কর্মরত ছিলেন। রাত ১০টার দিকে, একটি সাদা রঙের ক্রেটা গাড়ি দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে দুজন মুখোশধারী দুষ্কৃতী নেমে পিস্তল বের করে বিক্রমকে ভয় দেখায় এবং তার কাছ থেকে ১.০৩ লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পরপরই বিক্রম দোকানের মালিককে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। সেক্টর ২৯ থানার ইনচার্জ সুভাষ জানান, “আমরা খবর পেয়েছি যে মদের দোকানে টাকা ছিনতাই হয়েছে, তদন্ত চলছে।”
প্রথম ঘটনার মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই, ওই একই দুষ্কৃতীরা সমালখা, পট্টিকল্যাণ অঞ্চলে অবস্থিত আরেকটি মদের দোকানে লুট চালায়। সেখানে থাকা কর্মচারীদের ভয় দেখিয়ে ১.৫০ লাখ টাকারও বেশি নগদ টাকা লুট করে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।
পুলিশের সমালখা থানার ইনচার্জ দীপক জানিয়েছেন, “আমরা ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। লুটের ঘটনায় দুষ্কৃতীরা একই গাড়ি ব্যবহার করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: দিল্লিতে মর্মান্তিক ঘটনা! বাওয়ানা খালে ডুবে শেষ দুই ভাই, জানুন পুরো ঘটনাটি…
ঘটনার পর, জিটি রোড-সহ বিভিন্ন এলাকায় নাকা চেকিং শুরু করা হয়েছে এবং পুলিশের একাধিক দল দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই লুটপাট কোনো পরিকল্পিত গ্যাং দ্বারা সংঘটিত হয়েছে, যারা টার্গেট ঠিক করেই হামলা চালায়।
পুলিশ ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে, যাতে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করা যায়। এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
পানিপথে একের পর এক লুটের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ দ্রুত অপরাধীদের ধরতে তৎপরতা চালাচ্ছে এবং শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।