জানা গেছে, সাওয়াইজপুর পাওয়ার হাউজের লাইনম্যান উপেন্দ্র যাদব বিদ্যুৎ বিভ্রাট মেরামতের কাজে যাচ্ছিলেন। পথে বৃন্দাবন চৌরাস্তা এলাকায় পুলিশ যানবাহন চেকিং করছিল। সেই সময় থানার ইনচার্জ প্রেমসাগর সিংহ তার বাইক আটকান এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তার চালান কেটে দেন।
advertisement
লাইনম্যান পুলিশকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তিনি জরুরি কাজের জন্য যাচ্ছেন এবং তাড়াহুড়োর চোটে তিনি হেলমেট পরতে পারেননি। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি এবং তার বাইকের চালান কেটে দেয়।
লাইনম্যান উপেন্দ্র যাদব ক্ষুব্ধ হয়ে বিষয়টি তার জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সাফরাজ আহমেদকে জানান। এরপর দু’জন মিলে থানায় পৌঁছান এবং গোপনে থানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন!
থানার বিদ্যুৎ চলে যেতেই পুলিশ সদস্যরা হতবাক হয়ে যান এবং চারদিকে হইচই শুরু হয়ে যায়। থানার কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়, পুলিশ সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। লাইনম্যানের অভিযোগ, থানার ইনচার্জ তার বসের গাড়ির ছবি তুলে তাকে হুমকি দেন। তবে, থানার ইনচার্জ প্রেমসাগর সিংহের দাবি, ট্রাফিক আইন সবার জন্য সমান এবং আইন লঙ্ঘনের জন্যই লাইনম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লাইনম্যান উপেন্দ্র যাদব ও তার বস থানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। ভিডিওতে লাইনম্যান দাবি করেন যে থানায় মিটারের বাইরে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছিল। তাই তারা থানার সংযোগ কেটে দেন। ভিডিওতে দেখা যায়, থানার ইনচার্জ বাকিদের সঙ্গে বসে আছেন, আর পেছন থেকে লাইনম্যান বলছেন— “সাওয়াইজপুর থানায় অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে, তাই আমরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি!”
এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশের বিরুদ্ধে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে। থানার অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে।