মঙ্গলবার মন্দিরের অপর বাজ পড়ে বেলা ২.৩০ মিনিট নাগাদ। আগুন ধরে যায় মন্দিরের মাথার ধ্বজায়। মুহূর্তে কাল হয়ে যায় মন্দিরের দেওয়াল। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, স্বয়ং ঈশ্বর রক্ষা করেছেন। মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বাজ না পড়লে, তা সংলগ্ন এলাকায় পড়ত, তাতে বড়সড় ক্ষতি হতে পারত, প্রাণহানির সম্ভাবনাও ছিল। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই প্রথম মন্দিরের ওপরে বাজ পড়ার ঘটনা ঘটল। যার ফলে কোনও অজানা আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁরা। যদিও এ দিনের এই ভয়াবহ ঘটনার পরেও প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি।
advertisement
দ্বারকাধিশ মন্দিরের যে ধ্বজা নষ্ট হয়ে গেল, সেই ধ্বজার ইতিহাস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের মধ্যে একমাত্র এই মন্দিরের ৫২ গজের ধ্বজা তিনবার ওড়ানো হয়। সেই ধ্বজা দেন মন্দিরের ভক্তরাই। মন্দির কর্তৃপক্ষের কোথায়, ভক্তদের অর্পণ করা ধ্বজা মন্দিরের শীর্ষে ওড়ানো হয় প্রতিদিন তিনবার করে। তারপরেও একজন ভক্তের ধ্বজা চড়ানোর জন্য তাঁদের দু-তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়।
দ্বারকার জেলাশাসক নিহার ভাতারিয়া জানিয়েছেন, দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে হয় বজ্রপাত। দ্বারকাধিশ মন্দির এ বজ্রপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পতাকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিষয়টি জানার পরেই মন্দির কর্তৃপক্ষকে ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।