ফাইল প্রকাশের দিনই চিঠি বিস্ফোরণ। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মুহুর্তে মধ্যে ভাইরাল সেই চিঠি ছড়িয়ে পড়েছে কয়েক লক্ষ অ্যাকাউন্টে। চিঠিতে কোনও ফাইল নম্বর না থাকলেও মেমো নম্বর রয়েছে। তবে অস্পষ্ট হওয়ায় তা পড়া যায়নি। তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনার পর নেতাজি যে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, এই তত্ত্ব নতুন নয়। চিঠিতেই এই নিয়েই অনুযোগ করছেন জহওরলালাল নেহেরু। চিঠিতে নেহেরু লেখেন, ‘আমি বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, সুভাষ চন্দ্র বসু, যিনি আপনাদের কাছে যুদ্ধপরাধী, তিনি স্টালিনের সাহায্যে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। রাশিয়ার তরফে এটা বিশ্বাসঘাতকতা কারণ তারা ব্রিটিশ-মার্কিন জোটের সঙ্গী। আপনি এটা জেনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন আশা করছি।’ তবে সত্যিই কী এই চিঠি লিখেছিলেন নেহেরু? ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, চিঠিতে ফাইল নম্বর না থাকায় এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই। তবে মেমো নম্বর থাকায় চিঠিটি কোন সিরিজের তার খোঁজ পাওয়া সম্ভব। কংগ্রেস অবশ্য এর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে দাবি করেছে । নেতাজি গবেষক ও সাংবাদিক অনুজ ধরও নথি পেশ করে দেখিয়েছেন, ১৯৫৬ সালেও রাশিয়ায় সরকারের নজরববন্দী ছিলেন নেতাজি। বিতর্কিত এই চিঠি সত্যিই জহওরলালের লেখা কিনা, তা নিয়ে শেষ কথা বলার সময় এখনও আসেনি বলে জানিয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের।
advertisement