‘লস্করকে আর্থিক সাহায্য করে ISI ৷’ আদালতে মঙ্গলবার হেডলির মুখে শোনাা গেল এমনই বিস্ফোরক উক্তি ৷ এরইসঙ্গে হেডলি এদিন আদালতে জানান, পাকিস্তানের মুজফ্ফরাবাদে বসে ২০০৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসেই মুম্বইয়ে হামলার ছক কষা হয় ৷ সেই বৈঠকে সাজিদ, হেডলি ছাড়াও ছিল উপস্থিত ছিলেন আবু খাফা ৷ তবে হেডলিকে যে ভারতে রেইকির কাজে পাঠানো হবে তা আগেই,২০০৬ সালের একটি বৈঠকেই স্থির করা হয় ৷ দফায় দফায় মুম্বই হামলার পরিকল্পনা নিয়ে হেডলির সঙ্গে সাজিদ মির, মুজামিল,আবু খাফার বৈঠক হয় ৷ ভারত থেকে সামরিক তথ্য সংগ্রহের ভার ছিল হেডলির উপর ৷ পাকিস্তান থেকে লস্কর শীর্ষ নেতা মেজর ইকবাল হেডলিকে ভারতীয় সেনার আধিকারিকদের ISI চরবৃত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ এর সঙ্গে হেডলির প্রধান কাজ ছিল মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গার ভিডিও এবং ছবি তোলা ৷ সেই কাজেই হেডলি বহুবার তাজ হোটেলে এসেছেন বলে জানান ৷ তাজ হোটেলের প্রতিটা প্রবেশপথ,আপৎকালীন রাস্তা এবং হোটেলের প্রতিটা খুঁটিনাটির ভিডিও-ছবি তিনি লস্করকে পাঠান ৷ এছাড়াও ওবেরয় হোটেল, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, মহারাষ্ট্র পুলিশ হেডকোয়ার্টার, ভগত সিং মার্গ, লিওপোল্ড কাফে এবং মুম্বইয়ের বিখ্যাত আরও কিছু স্থানের বিস্তারিত ফুটেজ পাঠিয়েছিলেন হেডলি ৷ তাঁর স্বীকারোক্তি থেকেই জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের নজর ছিল মুম্বই হেড কোয়াটার্স এবং সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরেও ৷ কেন নিশানায় ছিল মুম্বই? বিশেষ সরকারি আইনজীবী উজ্জ্বল নিকমের এই প্রশ্নের উত্তরে হেডলি বলেন, ‘জানিনা, আমি জানতেও চাইনি ৷’ এরই সঙ্গে হেডলি আদালতে
advertisement
হেডলির মুখে এদিন দু’জন ভারতীয়র নামও শোনা গিয়েছে ৷ একজন হলেন মীরা কৃপালিনী ৷ যার বাড়িতে হেডলির পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল ৷ অন্যজন হলেন বাশির শেখ, যিনি হেডলিকে এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে এসেছিলেন ৷ মুম্বই আদালতে নিজের বয়ানে ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিলের নাম নিয়েছে ডেভিড হেডলি ৷ তিনি বলেন, ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে কাজ করছে এই কাউন্সিল ৷ লস্কর, জৈশ-এ-মহম্মদ,হিজবুল মুজাহিদিন,হরকত-উল-মুজাহিদিন, এই চারটে সংগঠনই ইউনাইটেড কাউন্সিলের সদস্য ৷পাকিস্তানে থেকেই এরা ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপ চালায় ৷’ আদালতে ছবি দেখে মেজর আবদুল রেহমান পাশা এবং লস্করের প্রধান কমান্ডার জাকিউর রেহেমান লকভিকে শনাক্ত করে হেডলি ৷ আগামীকাল ফের হেডলির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে ৷