চিত্রকূট জেলার চিবো গ্রামের বাসিন্দা রবিশঙ্কর সিং। বয়স ৪৫ বছর। রবিশঙ্কর নিজেই নিজের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন। শুধু তাই নয়, মাথা কামিয়ে ন্যাড়াও হয়েছেন তিনি। রবিশঙ্কর বলেন, ‘এটা ঈশ্বরের ইচ্ছা। আমি ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই নিজের শেষকৃত্য করেছি। ৭ মার্চ ১৩ দিন হবে। ওই দিন শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করব’।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে বেশি মাংস খায় কোন দেশের মানুষ? ভারত ভাবলে পুরোই ভুল, নামটা জাস্ট অবাক করে দেবে
advertisement
তিন ভাইয়ের মধ্যে রবিশঙ্কর সবার ছোট: রবিশঙ্কর জানিয়েছেন, তিনি এখনও বিয়ে করেননি। তাঁরা তিন ভাই। তিনিই সবার ছোট। রবিশঙ্কর আগে প্রয়াগরাজে থাকতেন। সেখানে মার্বেল পাথরের কাজ করতেন। তবে গত আট মাস ধরে তিনি বাড়িতেই রয়েছেন। সম্প্রতি নতুন বাড়ি করেছেন রবিশঙ্কর। সেই বাড়িতে প্রথমে কীর্তন করান। তারপর রামায়ণ পাঠ। এবং সবার শেষে নিজের শেষকৃত্য। কিন্তু পরিবারের লোকেরা আপত্তি করেননি? জানতে চাওয়া হলে রবিশঙ্করের সপাট জবাব, ‘করলেই বা কী, ভগবানের ইচ্ছা’।
আরও পড়ুন: বলুন তো, পৃথিবীতে কোন সবজি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়? হলফ করে বলা যায়, বিশ্বাসই হবে না শুনে
কেন করলেন নিজের শেষকৃত্য: কিন্তু কেন করলেন শেষকৃত্য? দুদিকে মাথা নাড়াতে নাড়াতে রবিশঙ্করের মুখে শুধু একটাই কথা, ‘ভগবানের ইচ্ছা’। এর বেশি শব্দ খরচ করতে রাজি নন তিনি। তবে রবিশঙ্কর না কি বরাবরই কম কথা বলেন। এমনটাই বলছেন তাঁর বড় ভাই, ‘আমাদের সঙ্গেও বেশি কথা বলে না’।
বড় ভাই আরও জানান যে রবিশঙ্কর প্রথমে কাজের জন্য দিল্লি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে প্রয়াগরাজ। কয়েক মাস আগে গ্রামে ফিরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নতুন বাড়ি বানান। তারপর সেখানে শুরু হয় অখণ্ড কীর্তন, রামায়ণ পাঠ। তারপর ২৪ ফেব্রুয়ারি পুরোহিত ডেকে মৃত্যু পরবর্তী অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। এবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হবে। এই নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করলেই বলছেন, ‘ভগবানের ইচ্ছা’। এমন ঘটনায় আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন গ্রামবাসীরাও।