বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ২৫টি আসনে জয়ী হয়েছে আরজেডি৷ এর পরই আজ বিবৃতি দিয়ে রোহিনী এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, ‘আমি রাজনীতি ছাড়ছি এবং নিজের পরিবারকেও পরিত্যাগ করছি৷ সঞ্জয় যাদব এবং রামিজই চেয়েছিল আমি এরকম করি৷ সব দায় আমি নিচ্ছি৷’
আরজেডি-র অন্দরে রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় যাদব লালু পুত্র তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবেই পরিচিত৷ রামিজ আবার এই সঞ্জয়ের ঘনিষ্ঠ৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নিজের ভাই তেজস্বীর উপরে চাপ দিতেই এই বিবৃতি দিয়েছেন রোহিনী৷ কারণ আরজেডি-র বিপর্যয়ের জন্য এই সঞ্জয় যাদবকেই দায়ী করছেন অনেকে৷ এর আগে সঞ্জয় যাদবের বিরুদ্ধে পরিবারে ফাটল ধরানোর অভিযোগ তুলেছিলেন লালুর ত্যাজ্য পুত্র তেজপ্রতাপ যাদবও৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তেজস্বী যাতে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন, সেই চাপ দেওয়ার জন্যই এবার বিদ্রোহ করলেন লালু কন্যা রোহিনী৷
advertisement
এখনও পর্যন্ত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লালুপ্রসাদ অথবা তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী তেজস্বীকে কোনও চাপ দেননি বলেই সূত্রের খবর৷ বাবা-মা যাতে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন, তা নিশ্চিত করতেই রোহিনী পরিবারের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলে চাপ সৃষ্টি করলেন বলেই মনে করা হচ্ছে৷
কে এই রোহিনী আচার্য?
লালু প্রসাদের কন্যা রোহিনী ডাক্তারি পাশ করার পরেও সিঙ্গাপুরে স্বামী এবং ছেলেকে নিয়ে সংসার করছিলেন৷ তাঁর বাবা লালুপ্রসাদ যাদবকে একটি কিডনিও দান করেন রোহিনী৷ আরজেডি-র অন্দরে রোহিনী অন্যতম প্রভাবশালী হিসেবেই পরিচিত৷
গত বছর সারন লোকসভা কেন্দ্রে আরজেডি প্রার্থীও হন রোহিনী৷ কিন্তু বিজেপি-র রাজীবপ্রতাপ রুডির কাছে পরাজিত হন তিনি৷ এ বছরের শুরুতেই নিজের বড় ছেলে তেজপ্রতাপকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেন লালুপ্রসাদ৷ আরজেডি থেকেও তাঁকে বহিষ্কার করা হয়৷ পরিবার থেকে আলাদা হওয়ার পর জনশক্তি জনতা দল নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন তেজপ্রতাপ৷ রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে তেজস্বীর বিরুদ্ধেও প্রার্থী দেয় তেজপ্রতাপের দল৷ যদিও বিহারের নির্বাচনে কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি তেজপ্রতাপের দল৷ এবার রোহিনীর বিদ্রোহে লালুর পরিবারের অভ্যন্তরীণ কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল৷
