এদিনের বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে পুরনো বন্ধু নীতীশ কুমারের পাশেই বসে থাকতে দেখা যায় লালুপ্রসাদকে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি পুরোপুরি ফিট হয়ে গেছি। এবার বড়িয়া সে ফিট করে দিতে চাই বিজেপিকে, এবার আমি সরাব।’’
লালু জানান, বিজেপি বিরোধী দলগুলির পরবর্তী বৈঠক হবে শিমলাতে৷ সেখানে পরের ধাপ নিয়ে আলোচনা হবে। লালুর কথায়, ‘‘সবাই বলত, আমরা কেন একসঙ্গে লড়াই করি না। বাজারে গিয়ে দেখুন কী দাম জিনিসের! বেকারত্ব বাড়ছে। বিজেপির হাল কিন্তু খারাপ। মোদির অবস্থাও খারাপ হবে। ২০০০ টাকার নোট বাতিল করল। কেন করল?’’
advertisement
এর পরেই পুরনো মেজাজে কথা বলতে দেখা যায় লালুকে৷ ভরা সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধিকে বিয়ের পরামর্শ দিয়ে ফেলেন৷ সমস্ত ঘরই ভরে ওঠে হাসিতে৷ বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধি ভাল কাজ করেছে৷ পায়ে হেঁটে ভাল করে দেশ দেখেছে। রাহুলের এবার বিয়ে করা উচিত৷ বয়স এমন কিছু হয়নি। আর আমরা বরযাত্রী যাব। এবার দাড়িটা ছোট ছোট করে কাটুন। দেশে আরও একজন দাঁড়িওয়ালা রয়েছে৷’’
ততক্ষণে, হাসতে শুরু করেছেন রাহুলও৷ এরপরে সনিয়া গান্ধির প্রসঙ্গ তুলে লালু বলেন, উনিও চান তাঁর ছেলে থিতু হোক৷
গত বছর ডিসেম্বরেই সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের৷ বাবাকে সুস্থ করতে নিজের কিডনি দান করেছেন মেয়ে রোহিনী আচার্য। দীর্ঘদিন ধরেই নানা রকম অসুখবিসুখে ভুগছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরডেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। সম্প্রতি কিডনির সমস্যাও শুরু হয়েছিল তাঁর। সমস্যা গুরুতর হওয়ায় কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসকেরা। তারপরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার হয়।
সেই অস্ত্রোপচারের পরে এই প্রথম সক্রিয় রাজনীতির কোনও কর্মসূচিতে দেখা গেল লালুকে৷