২০০৮ সাল৷ তেলঙ্গানার ওয়ারাঙ্গলে দুই যুবতীকে অ্যাসিড হামলায় অভিযুক্ত ৩ জনেরই মৃত্যু হয় এনকাউন্টারে৷ এস শ্রীনিবাস রাও (২৫), পি হরিকৃষ্ণা (২৪), বি সঞ্জয় (২২)৷ পুলিশ জানায়, তিন জন হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল৷ পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়৷ এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ওয়ারাঙ্গলের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দুই ছাত্রীর উপর অ্যাসিড হামলা করে৷ এক তরুণী ঘটনাস্থলেই মারা যান৷ আরেকজেনর দীর্ঘ দিন চিকিত্সা চলে৷ গোটা হায়দরাবাদ ক্ষোভে যখন ফুঁসছে, তখনই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ৩ অভিযুক্তের৷
advertisement
সে বার ওয়ারাঙ্গল জেলা পুলিশের সিপি ছিলেন ভিসি সজ্জানার৷ আজ হায়দরাবাদে গণধর্ষণ ও খুনে ফুঁসছে গোটা দেশ, তখন সাইবারাবাদ পুলিশের কমিশনার ভিসি সজ্জানার৷ সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি৷ ভোরের আলো ফোটার আগে এনকাউন্টার৷ তারপর অভিযুক্তরা শেষ৷ ২৭ নভেম্বর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি ঘটে৷ ঠিক ১০ দিনের মাথায় এনকাউন্টারে খতম অভিযুক্তরা৷
হায়দারাবদের মহিলারা ভিসি সজ্জানারকে স্যালুট জানাচ্ছেন৷ পুলিশকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন৷ পুষ্পবৃষ্টি হচ্ছে পুলিশ দেখলেই৷ সাইবারাবাদ পুলিশের কমিশনার ভি সি সজ্জানারের কথায়, 'ওদের কে আমরা জেরা করছিলাম৷ কী ভাবে ঘটনাটি ঘটায় ওরা৷ হঠাত্ ওরা আমাদের উপর হামলা চালায়৷ তারপর পালাতে শুরু করে৷ আমরা ওদের আত্মসমর্পণ করতে বলি৷ ওরা শোনেনি৷ কোনও উপায় না দেখে আমরা গুলি চালাই৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ জনের৷' ২০০৮ সালেও একই বিবৃতি দিয়েছিলেন এনকাউন্টারের পরে৷
