এর আগে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের অন্যান্য নেতারা এই হামলার নিন্দা জানান। বৃহস্পতিবার সুস্মিতা দেব, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা এই ঘটনার প্রতিবাদে ত্রিপুরায় মিছিলও করেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেছেন, "ভারতে একটি সংবাদ সংস্থার অফিসে এই ধরনের হামলা নজিরবিহীন। বিজেপি এবং ত্রিপুরা সরকারের এই বিষয়ে লজ্জা পাওয়া উচিত। দুষ্কৃতীদের মধ্যে অনেকেই বিজেপির পতাকা বহন করেছে, তাদের গ্রেফতার করা উচিত।"
advertisement
এদিকে, এ রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, "এটি রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হিংসা। যে সমস্ত সংবাদ সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাদেরকে সরকার আক্রমণ করতে পারে না - এটি গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ।" এই পরিস্থিতিতে এবার আগরতলায় মিছিল করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিল করবে তৃণমূল৷ বেলা দুটোয় মিছিল শুরু হওয়ার কথা৷
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় এবার শক্তি দেখাবে তৃণমূল, বুধবার অভিষেকের নেতৃত্বেআগরতলায় মিছিল
এই পরিস্থিতিতে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মিছিল করবে তৃণমূল৷ বেলা দুটোয় মিছিল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এই মিছিলকে কেন্দ্র করেই ত্রিপুরার রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ আরও চড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ ত্রিপুরা দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপানোর পর এই প্রথমবার রাজধানী আগরতলায় নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করবে তৃণমূল কংগ্রেস৷ গত দু' মাসে এই নিয়ে তৃতীয় বার ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগামী বুধবারের মিছিলে অভিষেক ছাড়াও দলের একাধিক সাংসদ, বিধায়করা উপস্থিত থাকতে পারেন বলে সূত্রের খবর৷
তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের কথায়, 'ত্রিপুরার সর্বত্র ব্যাপক হিংসা শুরু হয়েছে, আর তা ঘটছে বিজেপির মদতেই৷ এই রাজ্যে এখন অপশাসন চলছে, ফ্যাসিস্ট শাসন চলছে৷ মানুষ পরিবর্তন চাইছেন বলেই আগামী ১৫ তারিখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসে সেই পরিবর্তনের ডাক দেবেন৷'