এ দিন সকাল আটটা নাগাদ কৌস্তভ বাগচীকে সরকারি ভাবে গ্রেফতার করা হয়৷ তার পর তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলে পুলিশ৷ সরকারি আইনজীবী আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত কৌস্তভের পুলিশ হেফাজতের আর্জি জানান৷
আরও পড়ুন: কৌস্তভের গ্রেফতারি! 'মুখ্যমন্ত্রীকেও গ্রেফতার করা উচিত,' এ কী বললেন শুভেন্দু
পাল্টা কৌস্তভের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য আইনজীবীরা দাবি করেন, কোনও বইয়ের অংশ তুলে বক্তব্য রাখা অপরাধ হতে পারে না৷ সেই বই বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে৷ কৌস্তভের বাড়িতে যেভাবে গভীর রাতে পুলিশ হানা দিয়েছে, তা জঙ্গিদের গ্রেফতারের সময় করা হয় বলেও অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতার পক্ষে সওয়াল করা আইনজীবীরা৷
advertisement
সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর মুখ্যমন্ত্রী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন কৌস্তভ৷ পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে দীপক ঘোষের দু'টি বই নিয়ে প্রচারের হুমকি দেন কংগ্রেস নেতা৷ এর পরেই শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক তৃণমূল কর্মী৷ ভোর রাত তিনটে নাগাদ কংগ্রেস নেতার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ৷ দীর্ঘক্ষণ জেরার পর কৌস্তভকে এ দিন সকালে গ্রেফতার করা হয়৷
কৌস্তভের বিরুদ্ধে ১২০বি সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ৷ কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, মহিলার সম্মানহানি, হুমকি, অশান্তিতে উস্কানির মতো গুরুতর অভিযোগ আনে পুলিশ৷ কৌস্তভের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে ৪১এ-তে নোটিস ছাড়াই কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে মাঝরাতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে আনে পুলিশ৷
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সপ্তাহে একবার কৌস্তভ বাগচীকে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ এপ্রিল। কৌস্তভের গ্রেফতারির পরেই এ দিন বড়তলা থানায় বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। পরে আদালত চত্বরেও বিক্ষোভ শুরু হয়।