জানা গিয়েছে, ২২ বছর বয়সি ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন, ১৭ বছর বয়সি কিশোরী তাঁর সঙ্গে একটি পুলিশ জিপের ছাদে উঠে যান, ব্যস্ত রাস্তার মাঝখানে গালিগালাজ করেন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। ঘটনার একটি ভিডিও X-এ ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দুজনকে পুলিশ জিপের মাথায় দেখা যাচ্ছে এবং মেয়েটিকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে।
advertisement
এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুসারে পুলিশ জানিয়েছে যে ঘটনাটি শুরু হয়েছিল এক নিখোঁজ ব্যক্তির রিপোর্ট দিয়ে। কিশোরী বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন, যার ফলে তাঁর পরিবার কোটার উপকণ্ঠে নান্তা থানায় একটি রিপোর্ট দায়ের করতে বাধ্য হয়েছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিকটবর্তী রামপুরা পুলিশ তাঁকে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে খুঁজে পায়। পুলিশ যখন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়, তখনও যুবক মেয়েটির সঙ্গেই ছিল।
পরের ঘটনা সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা! পুলিশ অফিসাররা যখন জুটিকে নিরাপদে স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য জিপে তোলার চেষ্টা করেন, তখন তাঁরা দুজনেই প্রতিরোধ করেন। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার পরিবর্তে যুবক নিজের সঙ্গে মেয়েটিকেও পুলিশের গাড়ির ছাদে তুলে নেন। সেখান থেকে তাঁরা দুজনেই চিৎকার করতে থাকেন, ছাদে দাপাদাপি করেন এবং নামতে অস্বীকৃতি জানান।
অস্বাভাবিক দৃশ্য দেখে যানচলাচল থেমে যায়, চারপাশে ভিড়ও জমে, অনেকেই ঘটনা রেকর্ড করতে থাকেন। প্রায় ১০ মিনিট ধরে এরকম চলার পর পুলিশ তাঁদের নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়। মেয়েটি বার বার চিৎকার করে বলতে থাকেন, “ওকে ছেড়ে দাও।” এরপর এই জুটিকে রামপুরা কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং যুবকের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে অশ্লীলতা, ঝামেলা সৃষ্টি এবং এক নাবালিকার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
ভিডিও দেখে সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। একদিকে যেখানে বেশিরভাগই জুটির ভদ্রতাবোধের অভাব নিয়ে সরব, অন্য দিকে আবার দৃশ্যটিকে ‘সাইয়ারা সিজন ৯৯, এপিসোড ৯৯৯’ বলে বিদ্রুপও করা হয়েছে।