কোঝিকোড় বিমানবন্দর সূত্রে দুর্ঘটনার ঠিক আগের এমন ঘটনা সামনে আসার পরে তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন তাবড় অফিসারেরা। রানওয়ের এত কাছে এসেও পাইলট কেন মাটি ছুঁল না, তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না তাঁরা। এক অভিজ্ঞ পাইলটের কথায়, "অনেক সময়ে পাইলট রানওয়ে ছুঁয়েছে মনে করলেও বাস্তবে তা হয় না। তবে এমন ঘটনা খুবই বিরল। তদন্তের পরেই প্রকৃত তথ্য জানা যাবে।"
advertisement
তবে এটিসি সূত্রে জানানো হয়েছে, পাইলট নিজেই দ্বিতীয়বার নামতে চেয়েছেন। তার আগে আরও একবার বিমানবন্দরের আকাশে এসে নামার অনুমতি চান পাইলট। এটিসি তাঁকে নামার অনুমতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাওয়ার গতিবেগ এবং দৃশ্যমানতা সম্পর্কে জানিয়ে দেয়। সে বারে বিমানবন্দরের কাছে এসেও অবতরণ না করে ৮০০০ ফুট ওপরে উড়ে যায় বিমানটি। তখনও মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে কোজিকোড়ে। প্রায় ৭ থেকে ১০ মিনিট আকাশে ওড়ার পরে আবার ফিরে আসেন পাইলট। এ বারেও সব কিছু তথ্য দেয় এটিসি। রানওয়ের একদম কাছে এসে ল্যান্ডিংয়ের যাবতীয় প্রস্তুতিও সেরে ফেলেন পাইলট। এটিসি তা দেখে সবুজ সঙ্কেতও দেয়। তার পরেও দুর্ঘটনা ঘটায় বেশ অবাক এটিসি অফিসারেরা।
উল্টো দিকে, এমন তথ্যও রয়েছে যে, ঠিক সময়ে ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়ায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বিমানটি। তা হলে কি শেষমুহূর্তে পাইলট বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি বিমানবন্দরের মাটি ছুঁতে পারেননি। হতে যাচ্ছে বড় দুর্ঘটনা। তাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন ইঞ্জিন। কী হয়েছে আসলে, তা নিয়ে বিস্তর ধন্দের মধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। যা খানিক এগোলে তবেই স্পষ্ট হবে দুর্ঘটনার কারণ।
SHALINI DATTA