কেরলে করোনা সংক্রমণ এখন লাগামছাড়া পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই বুধবার শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট শপথ গ্রহণের অনুমতি দেয়। তবে, এদিন করোনা বিধি মেনে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান বিজয়নকে শপথ বাক্য পাঠ করান। বিজয়নকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মোদি, পড়শি রাজ্য তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। এদিন বিজয়নের সঙ্গে শপথ নেন নবগঠিত মন্ত্রিসভার ২১ জন সদস্য। এই মন্ত্রিসভায় এবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের সব দলেরই সদস্য রয়েছেন। আর শপথ নেওয়ার পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই কেরলকে গরিবমুক্ত করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন।
advertisement
ট্যুইটে তিনি লেখেন, 'প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই কেরলে চরম গরিবি দূর করার একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ১৫ অগস্ট থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে। স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকে কেরলের মানুষ মৌলিক অধিকার হিসেবে গরিবিমুক্ততার পথে হাঁটতে শুরু করবেন।' যদিও বিজয়নের মন্ত্রিসভাকে বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। গত মন্ত্রিসভার ‘স্টার পারফর্মার’ তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজাকে তিনি এবার বাদ দিয়েছেন। করোনা মোকাবিলায় শৈলজাকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও। কিন্তু এবার তাঁর জায়গায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হচ্ছেন প্রাক্তন সাংবাদিক বীণা জর্জ। শৈলজা বাদ পড়লেও নতুন মন্ত্রিসভায় এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের জামাই মহম্মদ রিয়াজ। শৈলজাকে এবার বিধানসভার মুখ্য সচেতক করা হয়েছে। তিনি নিজেও পার্টিলাইন মেনেই বলেছেন, 'দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা শিরোধার্য'।
কেরলের ইতিহাসে বিজয়নই হলেন প্রথম যিনি টানা দুবার ক্ষমতায় ফিরলেন। প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পরপর দুবার তিনি শপথ নিলেন। এর আগে সিপিআই নেতা সি অচ্যুতা মেনন দুবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কেরলের। কিন্তু পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করেননি তিনি। বিজয়ন ২০১৬ থেকে পাঁচ বছর মেয়াদ সম্পূর্ণ করে ফের ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসলেন।