সালটা ছিল ২০১৩ ৷ বাবা মায়ের সঙ্গে কেদারনাথে ঘুরতে গিয়েছিল চঞ্চলা ৷ সেবারই ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে এসেছিল কেদারনাথে ৷ বন্যার জেরে প্রায় ৫ হাজার জন মারা গিয়েছিলেন সেবার ৷ বেশ কয়েকজনের খোঁজ আজও মেলেনি ৷ সেই বন্যাতেই নিজের বাবা-কে চোখের সামনে ভেসে যেতে দেখেছিল চঞ্চলা ৷ মা-কেও খুঁজে পায়নি ১২ বছরের কিশোরী ৷
advertisement
তবে, মা বাবাকে হারিয়ে ফেললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছিল চঞ্চলা ৷ জম্মু-র একটি অনাথ আশ্রমই হয়ে উঠেছিল চঞ্চলার গত পাঁচ বছরের ঘর বাড়ি ৷ অন্যদিকে, চঞ্চলা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হওয়ার জেরে সে মনে করতে পারছিল না তার বাড়ি কোথায় ৷ কেন সে এসেছিল কেদারনাথ ৷
আরও পড়ুন: শহর-রাস্তা-স্টেশনের পর এবার বদলে যাচ্ছে দ্বীপের নামও !
অবশেষে, কিছুদিন আগে আলিগঢ় কথাটি চঞ্চলার মুখে শুনতে পান আশ্রমের বেশ কয়েকজন ৷ সে চেষ্টা করছিল কিছু বলার ৷ এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই চঞ্চলার বাড়ির হদিশ পান আশ্রমের আধিকারিকরা ৷
পাঁচ বছর পরে নিজের মেয়েকে বেঁচে ফিরতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন চঞ্চলার মা, দাদু, ঠাকুমা ৷ প্রসঙ্গত, নিজের স্বামীকে চোখের সামনে ভেসে যেতে দেখেছিলেন চঞ্চলার মাও ৷ মেয়েকেও খুঁজে পাননি ৷ অবশেষে, খালি হাতেই বাড়ি ফিরে আসেন তিনি ৷ মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশাও দেখেননি কোনওদিন ৷ তাই আচমকাই মেয়েকে কাছে পেয়ে চোখে জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি ৷