আইনের নাম করে সংবিধানের ৩৫এ ধারার উপর অহেতুক হস্তক্ষেপ হলে কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি । ৩৫এ ধারার যৌক্তিকতাকে বিতর্ক চলছে দীর্ঘকাল ও সেই বিষয়টিই খতিয়ে দেখবে শীর্ষ আদালত । বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলির মত কোনও কারণ ছাড়া উপত্যকার সার্বভৌমত্ব নষ্ট করলে তাঁরাও চুপ থাকবেন না । রবিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা জানিয়েছেন, বিজেপি ও আরএসএস অনেকদিন থেকেই কাশ্মীরের জনতাত্ত্বিক অবস্থাকে নষ্ট করে ফেলতে চাইছে । সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা সেই পরিকল্পনারই অংশ। পিডিপি-বিজেপি জোট থাকাকালীনও এই ধারাটিকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মেহবুবা মুফতি । জোট ভাঙনের পর কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক দলই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে এই ধারাটির উপর সবরকম হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্র ।
advertisement
পিডিপি প্রেসিডেন্ট মেহবুবা মুফতিও কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক দল ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের কাছে ৩৫এ ধারা ও ৩৭০ধারা রক্ষা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন । কংগ্রেস নেতা তারিক হামিদ কারা জানিয়েছেন ৩৫এ নিয়ে কোনও পরিবর্তন এলে জ্বলে উঠবে কাশ্মীর । দরকার পড়লে 'জেল ভরো' আন্দোলনও করবেন তাঁরা ।
কী এই ৩৫এ ধারা ?
সংবিধানের এই নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী নাগরিকত্ব বিষয়ক বিশেষ অধিকার পেয়ে থাকে জম্মু-কাশ্মীর । এই ধারা অনুযায়ী উপত্যকার বাসিন্দাদের বিশেষ সুযোগ সুবিধাও দিতে পারে কাশ্মীরের আইনসভা । ১৯৪৫ সালে সংবিধানে যুক্ত হয়েছিল এই ধারা । ৩৭০ ধারা অনু্যায়ীও বিশেষ রাজ্যের সুবিধা পেয়ে থাকে কাশ্মীর । কিন্তু এই ৩৫এ ধারা অনুযায়ী ভারতের অন্য কোনও রাজ্যের বাসিন্দারা কাশ্মীরে কোনও স্থাবর সম্পত্তির মালিকা হতে পারবেন না অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসও করতে পারবেন না । কারা হবেন কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দা সেই বিষয়টিও নির্ধারণ করে এই ধারা ।