তিনি অনুমতি দিলেই শুরু হয়ে যায় এই সেতু দিয়ে রেল চলাচল। জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় অবস্থিত এই অঞ্জি খাদ সেতু মাত্র একটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪৭৩.২৫ মিটার এবং এটি ১৫ মিটার চওড়া। ভিত থেকে সেতুটির উচ্চতা ১৯১ মিটার এবং ৯৬টি কেবল রয়েছে তাতে। তার সাহায্যেই এই সেতু কার্যত ঝুলে রয়েছে। এর ওপর দিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারে ট্রেন, এমনকী ৪০ কেজি বিস্ফোরকও এই সেতুটিকে উড়িয়ে দিতে পারবে না বলে রেল সূত্রে খবর।
advertisement
জানা গিয়েছে, কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি উধমপুর থেকে শ্রীনগর হয়ে বারামুল্লা লাইনে কাটরা-রেসাই সেকশনে চূড়ান্ত ইন্সপেকশন করেন গত ৫ জানুয়ারি। এই রুটে বন্দে ভারত পর্যন্ত ছুটবে। তা নিয়ে আভাস দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজেই। আর তা হলে ভারতের প্রথম কেবল সাসপেনশন ব্রিজের ওপর দিয়ে বন্দেভারতে চেপে শ্রীনগর পৌঁছে যাওয়া যাবে।জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় এই সেতুটি রয়েছে। এর উপর দিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটতে পারবে ট্রেন। উধমপুর থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের অধীনে এই রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।এই রেল প্রকল্পটি নিয়ন্ত্রণ রেখা পর্যন্ত সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। জানা গিয়েছে, অঞ্জি খাদ সেতুটি ১৫ মিটার চওড়া। মূল বিস্তৃতি ২৯০ মিটার। এই সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪৭৩.২৫ মিটার। একটি মাত্র স্তম্ভ ধরে রেখেছে সেতুটিকে।
ভিত থেকে তার উচ্চতা ১৯৩ মিটার। নদীগর্ভে আরও ৩৩১ মিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত স্তম্ভটি। এই স্তম্ভের সঙ্গে ৯৬টি কেবলের সাহায্যে সেতুটিকে শূন্যে রীতিমতো ভাসিয়ে রাখা হয়েছে।এই সাসপেনশন ব্রিজকে যে তার বা কেবলগুলি শূন্যে ভাসিয়ে রেখেছে, সেগুলির দৈর্ঘ্য ৮২ মিটার থেকে ২৯৫ মিটার। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই কেবলগুলির সম্মিলিত দৈর্ঘ্য হল ৬৫৩ কিলোমিটার। দাবি করা হচ্ছে, ৪০ কেজি বিস্ফোরকও এই সেতুটিকে উড়িয়ে দিতে পারবে না। ঘণ্টায় ২১৩ কিলোমিটার বেগে আসা ঝড়ও সেতুটিকে নাড়াতে পারবে না।
