পিটার গোল্লাপল্লি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। অভিযোগ, রবিবার তিনি আত্মহত্যা করেন। চামুন্ডেশ্বরী নগর এলাকার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাবাকে উদ্দেশ্য করে সুইসাইড নোট লিখে যান পিটার। সেখানেই মৃত্যুর জন্য স্ত্রীকে দায়ী করেছেন তিনি।
সুইসাইড নোটের শুরুতেই বাবার কাছে দুঃখপ্রকাশ করে পিটার লেখেন, “বাবা, আমি দুঃখিত।“ তারপর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি, “আমার স্ত্রী পিঙ্কি আমাকে হত্যা করছে। কারণ সে আমার মৃত্যু চায়…স্ত্রীর নির্যাতনের কারণে আমি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছি।“
advertisement
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি বছর দু’য়েক আগে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত। ছোটখাটো বিষয় নিয়েও তাঁদের মধ্যে তুমুল অশান্তি হত। প্রতিবেশীরাও এটা জানতেন।
মনোমালিন্যের কারণে বিয়ের তিন মাস পর থেকে তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। এর কয়েকদিন পরই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন স্ত্রী। সঙ্গে ২০ লক্ষ টাকার খোরপোষ চান। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত ৩ মাস ধরে পিটার এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি চলছিল। মৃতের ভাই এশায়া সাংবাদিকদের বলেছেন, “রবিবার পরিবারের সবাই মিলে গির্জায় গিয়েছিলাম। বিকেলে বাড়ি ফিরে ভাইয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাই।“
ছেলের মৃত্যুতে ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছে পিটারের পরিবার। তাঁর ভাই জানিয়েছেন, পিটার বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু তিন মাস আগে তাঁর চাকরি চলে যায়। এশায়া বলেন, “ভাইয়ের মৃত্যুর ন্যায় বিচার চাই আমরা। ওই মহিলাকে (মৃতের স্ত্রী) এখনই গ্রেফতার করা উচিত। যথাযথ তদন্ত করে দোষীকে শাস্তি দিতে হবে। আমার ভাই যে কষ্ট পেয়েছে তা যেন কেউ না পায়। ওঁর দাদাও আমার ভাইকে মারধর করত। এই নিয়ে আমরা পুলিশের কাছে এফআইআর-ও দায়ের করেছি।“
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ১০৮ (আত্মহত্যার প্ররোচনা)-এর অধীনে পিটারের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।