হিজাব মামলায় কর্নাটক হাই কোর্টের রায় নিয়ে শেষ পর্যন্ত বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে ‘খণ্ডিত রায়’ দিয়েছে। গত ১৫ মার্চ কর্নাটক হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, হিজাব পরাকে ধর্মাচরণের প্রয়োজনীয় অঙ্গ হিসেবে দেখা ঠিক নয়। বৃহস্পতিবারের খণ্ডিত রায়ের ফলে এ বার উচ্চতর বেঞ্চে গেল হিজাব মামলা।
advertisement
বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া কর্নাটক সরকারের নির্দেশ খারিজ করে বলেন, 'হিজাব পরা-না পরা একটা ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। গ্রামীণ ভারতে একটি বাচ্চা মেয়েকে অনেকসময়ই অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। সেকথা মাথায় রেখেই যে প্রশ্নটা আমার মনে এল, তা হল কেন আমরা তার জীবনটাকে আরও কঠিন বানাচ্ছি?' দুই বিচারপতির দুই ভিন্ন রায়ের পরই মামলাটি এবার সুপ্রিম কোর্টের ৩ বিচারপতির উচ্চতর বেঞ্চে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মামলাটি এখন প্রথমে শুনবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটক হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে, হিজাব পরা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে কিনা এবং ধর্মীয় অনুশীলনের একটি অপরিহার্য অংশ কিনা তা বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি কর্ণাটক হাইকোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এটাও বলা হয় যে, হিজাব বিষয়টি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনও শিক্ষার্থীকে ধর্মীয় পোশাক পরার জন্য কোনওভাবেই জোর করা উচিত নয়। কর্ণাটক হাইকোর্টের ১০ ফেব্রুয়ারির সেই অন্তর্বর্তীকালীন রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন পড়ুয়ারা।