স্থানীয় হোন্নালি এলাকায় গত ১৬ নভেম্বর তাঁর বোনকে বাসস্টপে নামিয়ে দিয়ে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিপেশ৷ সে সময় একটি পথকুকুরকে প্রাণে বাঁচাতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় পড়েন এই যুবক৷ মাথায় তীব্র আঘাত পান৷ ঘটনার অভিঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়৷
পথের সারমেয় কী বুঝেছিল কে জানে! দুর্ঘটনাস্থল থেকে গাড়ির পিছন পিছন প্রায় ৮ কিলোমিটার হেঁটে সে পৌঁছয় ওই যুবকের বাড়িতে৷ আগাগোড়া বসেছিল তাঁর রক্ষাকর্তা যুবকের অন্ত্যেষ্টিতে৷ তার এই আচরণ ছুঁয়ে যায় সকলের মন৷
advertisement
এখানেই শেষ নয়৷ তিপেশের অন্ত্যেষ্টির পরও একচুলও নড়েনি সে৷ ঠায় বসেছিল শোকে মুহ্যমান অবস্থায়৷ তিন দিন ঠায় অপেক্ষার পর তিপেশের বাড়িতে ঢুকে পড়ে সে৷ সোজা চলে যায় পুত্রহারা মা যশোদাম্মার কাছে৷ তাঁর পায়ের কাছে বসে থাকে চুপ করে৷ শোকবিহ্বল মা তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে দিতেই তার উপর মাথা রেখে শুয়ে পড়ে৷ চতুষ্পদ প্রাণীটি বুঝিয়ে দেয় পারিবারিক শোকে শামিল সে নিজেও৷
আরও পড়ুন : ‘তুমি অন্য কারওর সঙ্গে বেঁধো ঘর’…ক্ষত বিক্ষত মুহূর্তে অনুপমকে কদর্য আক্রমণ তাঁর সৃষ্টি দিয়েই!
এর পর আর তাকে ফিরিয়ে দিতে পারেনি তিপেশের পরিবার৷ পরিবারের একজন সদস্য বলেই মেনে নিয়েছে৷ দত্তক নিয়ে ওই পথকুকুরের ভার গ্রহণ করেছেন তাঁরা৷ যে পথকুকুরের প্রাণ বাঁচাতে চলে গিয়েছেন তাঁদের বাড়ির ছেলে, সেই সারমেয়কেই আপন করে নিয়েছেন তিপেশের পরিবার৷