পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বৈরিতা নতুন কিছু নয়। কিন্তু ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন ভারত এবং পাকিস্তান লাহোর চুক্তিতে (Lahore Declaration) সই করে, তখনও এই যুদ্ধের সম্ভাবনার কথা কল্পনা করা যায়নি। কেন না, পাকিস্তান যে কাশ্মীর দখল করতে চেষ্টা চালিয়েই যাবে, গোপনে সশস্ত্র বাহিনী পাঠাবে লাইন অফ কন্ট্রোলের এপারে, অপারেশন বদরির (Operation Badri) সাহায্যে তছনছ করতে চাইবে প্রতিবেশী দেশের শান্তি, এর কোনও কিছুই ভাবা যায়নি। অথচ এই সব কিছুই হয়ে উঠল বাস্তব। মর্যাদা এবং সীমানা রক্ষার লক্ষ্যে তখন দেশের তরফ থেকে ২০০,০০০ সেনা সামিল হয়েছিল অপারেশন বিজয়ে (Operation Vijay), শুরু হয়েছিল কার্গিল যুদ্ধ। এর পর একটানা ৬০ দিনের যুদ্ধের পরে পিছু হটেছিল পাকিস্তান, সহযোদ্ধাদের স্মৃতিতে চোখে জল আর মনে যুদ্ধজয়ের তৃপ্তি নিয়ে বিশ্রাম পেয়েছিলেন অবশিষ্ট সেনারা।
advertisement
প্রতি বছরের মতো এবারেও উদযাপিত হচ্ছে কার্গিল বিজয় দিবস। যার শুরুটা হয়ে গিয়েছে রবিবার থেকেই। তোলোলিং (Tololing), টাইগার হিল (Tiger Hill) এবং অন্য অঞ্চলে ভারতীয় সেনার পরাক্রম এবং যুদ্ধজয়ের স্মৃতিতে লাদাখের দ্রাসের কার্গিল ওয়ার মেমোরিয়ালে (Kargil War Memorial) জ্বালানো হয়েছিল ৫৫৯টি প্রদীপ। জাতির উদ্দেশে রবিবার বক্তব্যও রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ভারতীয় সেনার প্রভূত প্রশস্তি শেষে ২২তম কার্গিল বিজয় দিবসে তাঁর প্রস্তাব- দিনটি এবার থেকে উদযাপিত হোক অমৃত মহোৎসব (Amrut Mahotsav) নামে।
সত্যিই তো, ভারতীয় সেনার শৌর্য, বীর্য এবং আত্মত্যাগ একমাত্র অমৃতের সঙ্গেই তুলনীয়, সেই সঞ্জীবনী ধারার কল্যাণেই তো সুখে দিনক্ষেপ করে দেশ!
