TRENDING:

Kargil Hero: বাবা কথা দিয়েছিলেন ছেলেকে, আজও কথা রাখেন, কারগিল যুদ্ধের শহিদ পুত্রের জন্য প্রতিবছর যান দ্রাসে

Last Updated:

Kargil Hero: কার্গিলের যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছিলেন যুবক, পুত্রকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতেই প্রতি বছর দ্রাস পাড়ি দেন এক বাবা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নয়াদিল্লি: বহু বছর আগে কর্তব্য অবিচল থেকে নিজের দেশমাতৃকাকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজের জীবন দিয়েছিলেন এক যুবক। আর তাঁর অন্তিম ইচ্ছা পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। আর সেই কথা রাখতেই প্রত্যেক বছর মে মাস থেকে জুন মাসের মধ্যে দিল্লি থেকে কার্গিলের দ্রাসে পাড়ি দেন সেই বাবা। প্রতি বছর কর্নেল বীরেন্দ্র থাপারের এই কার্গিল-যাত্রা যেন ভালবাসা, গর্ব এবং এক পিতা-পুত্রের গভীর বন্ধনের উপাখ্যান!
কারগিল যুদ্ধে শহিদ পুত্রের  জন্য দ্রাসে যান এই বাবা
কারগিল যুদ্ধে শহিদ পুত্রের জন্য দ্রাসে যান এই বাবা
advertisement

১৯৯৯ সালের মে এবং জুলাই মাসের মধ্যে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কার্গিল যুদ্ধ লড়েছিল ভারত। আসলে এই সন্ত্রাসবাদীরা ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছিল এবং কৌশলগত জায়গাগুলি দখল করে রেখেছিল। সেই সমস্ত অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার জন্য সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী।

আর সেই কার্গিলের ঐতিহাসিক যুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন প্রায় ৫২৭ জন ভারতীয় সেনা। সেই তালিকায় ছিলেন ২২ বছর বয়সী লেফটেন্যান্ট বিজয়ন্ত থাপার। তিনি ছিলেন কর্নেল বীরেন্দ্র থাপারের পুত্র। নিজের অন্তিম চিঠিতে বাবার উদ্দেশ্যে একটি অনুরোধ জানিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট বিজয়ন্ত থাপার। যে ভূমিতে তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা নির্ভীক ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এবং নিজেদের প্রাণ দিয়েছেন, সেই জায়গাটিতে বাবাকে যাওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন বিজয়ন্ত। আর পুত্রকে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতিকে সম্মান জানাতেই কর্নেল থাপার প্রতি বছর দ্রাসে যান। সেখানে গিয়ে নিজের পুত্রের সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগকে সম্মান জানান তিনি। দ্য টেলিগ্রাফের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, এখানেই শেষ নয়, অনাথাশ্রমে দান এবং রুকসানা নামে একটি ছোট্ট মেয়েকে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে দেওয়ার জন্যও মা-বাবার কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন থাপার।

advertisement

ইতিমধ্যেই দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্নেল বীরেন্দ্র থাপারের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। একাধিক নেটিজেনই সেই পোস্টে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। কর্নেল বীরেন্দ্র থাপারের এই কর্তব্যই যেন মন ছুঁয়ে গিয়েছে বলে মত অনেকের। এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এক্স প্ল্যাটফর্ম (পূর্বে ট্যুইটার)-এ লিখেছেন যে, “এটা একেবারে মন ছুঁয়ে গেল। একজন বাবার প্রতি রইল উষ্ণ আলিঙ্গন।”

advertisement

অন্য একজন নেটাগরিক আবার মন্তব্য করেছেন যে, “এক সময় এই দেশের সশস্ত্র বাহিনী সত্যিই পূজনীয় ছিল। এমন ধরনের গল্প… সেই সকল মানুষের সাহসী ভূমিকার প্রমাণ, যাঁরা সত্যিকার অর্থে আমাদের রক্ষা করেছিলেন।”

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Kargil Hero: বাবা কথা দিয়েছিলেন ছেলেকে, আজও কথা রাখেন, কারগিল যুদ্ধের শহিদ পুত্রের জন্য প্রতিবছর যান দ্রাসে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল