করৌলির হিন্দাউন গেটের নিচে একমাত্র সুগন্ধীর দোকানটির সুগন্ধই একে দিয়েছে খ্যাতি। এক সময় বহু আমির-ওমরাহ এই দোকানের সুগন্ধীর টানে আসতেন, মজে থাকতেন সুরভিত প্রসাধনে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আজকের আধুনিক পারফিউমের যুগেও এই দোকানের অনেক খাঁটি সুগন্ধীই বেশ জনপ্রিয়। রাজস্থানের এই শহরের ছোট্ট এই দোকানটিতে পাওয়া যায় খাঁটি আতরের সুগন্ধ। আশপাশ দিয়ে যাওয়ার সময় যেকোনও পথচারী সুগন্ধের টানেই চলে আসেন দোকানে, আজও। আয়তনে বড় না হলেও দোকান থেকে ছড়িয়ে পরা সুবাস অনেক দূর পর্যন্ত মানুষকে জানান দেয় নিজের অস্তিত্ব।
advertisement
আরও পড়ুন- AC, কুলারের প্রয়োজন নেই! একটুকরো বরফই করে দেবে আপনার ঘর ঠান্ডা, জানুন কীভাবে
আরও পড়ুন- বউবাজারের কাজ শেষ হবে চলতি বছরেই, আশ্বাস রেল বোর্ডের
আতর ব্যবসায়ী সুলেমান খান বলেন, ‘আমাদের এই ছোট্ট দোকানে অনেক ধরনের আতর পাওয়া যায়। আগে আমাদের ঠাকুরদাদা এই দোকান চালাতেন।’ কত রাজা-সম্রাটও এখানকার বাক্স থেকে আতর নিয়ে যেতেন নিজেদের সংগ্রহে। এই আতরের প্রেমে পাগল ছিলেন তাঁরা।
সুলেমান জানান, এখন তাঁরা পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম, এই দোকান সামলাচ্ছেন। অনেক ধরনের সুগন্ধী পাওয়া যায় তাঁদের দোকানে। এখনও কনৌজ, দিল্লি, রতলাম থেকে বিশুদ্ধ আতর আসে এই দোকানে।
সুলেমান জানান, তাঁদের দোকানে নানা ধরনের আতর পাওয়া যায়। তার দামও নানা রকম। কোনটি দর তোলা প্রতি ২০০ টাকা তো কোনটি ৪০০, কোনটি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।
কিন্তু কী বিশেষত্ব এই আতরের?
সুলেমান জানান, বিশুদ্ধতা এবং দীর্ঘস্থায়ী সুবাসই এর বিশেষত্ব। প্রচণ্ড গরমে এক ফোঁটা সুগন্ধী মন ভাল করে দিতে পারে।
এক এক ঋতুতে এক এক সুগন্ধী—
প্রতি ঋতুর জন্য আলাদা আলাদা আতর পাওয়া এই দোকানে। সুলেমান জানান, গ্রীষ্মের জন্য গোলাপ, বেল, খস, রাতানি, কেওড়া, জুঁইয়ের আতর দারুন জনপ্রিয়। আবার শীতে মেহেদি, কস্তুরি, জাফরান- বর্ষায় কদম, বেল, চম্পা ও চন্দনের বিশেষ চাহিদা থাকে।
গত ত্রিশ বছর ধরে এই দোকান থেকে আতর কিনছেন ইকবাল খান। তিনি বলেন, ‘করৌলির এই একমাত্র দোকানে ঋতু অনুযায়ী সুগন্ধী পাওয়া যায়। করৌলির সবচেয়ে পুরনো ও ছোট্ট দোকানটির আতরের সুবাস একবার মাখলে ৮ দিন সতেজ রাখে।’
ক্রেতারাই জানালেন, এই দোকানে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি খাঁটি সুগন্ধী পাওয়া যায়। শহরের বাইরে থেকে এসেও অনেকে আতর কিনে নিয়ে যান করৌলির এই দোকান থেকে।