কপিল অবশ্য সমস্ত জল্পনা নস্যাৎ করে দিচ্ছেন। সমস্যা রয়েছে মেনে নিয়েই কপিল বলছেন, জিতিন প্রসাদ যা করেছেন, যাই হোক না কেন তিনি তা করবেন না। তুলে আনছেন পশ্চিমবঙ্গের ভোটের প্রসঙ্গও। কপিল সিব্বল এর কথায়, 'দলবদলের ঘটনা ভোট আসলেই ঘটছে। এটা পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনেও দেখা গিয়েছিল। কারণ দলবদলুরা ভেবেছিল ক্ষমতার হস্তান্তর হবে।'
advertisement
কপিল সিব্বল একই সঙ্গে কংগ্রেসের সমালোচনাও করছেন আবার মোদি শিবিরের দল ভাঙানো নীতির বিরোধিতাও করছেন। তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন কয়েক দশক হাত আগে হরিয়ানায় বিধায়ক কেনাবেচা রাজনীতি। তাঁর মতে এই ধরনের নীতিহীন প্রসাদান্ন ভোগের রাজনীতি বন্ধ করতে লড়তে হবে কংগ্রেসকেই। তবে কংগ্রেসের নীচুতলার সঙ্গে নেতৃত্বের যে দূরত্ব তা দূর করার ব্যাপারে নেতৃত্বকে আরও সক্রিয় হতে হবে বলেই মনে করছেন কপিল সিব্বল। তাঁর স্পষ্ট কথা, এখনই যদি কংগ্রেস নেতৃত্ব হাল না ধরে, তবে ভবিষ্যতে জিতিনের মতো অনেককেই হারাতে হবে।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ সখ্য মিটিয়ে বিজেপিতে নাম লিখেয়েছিল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। গতকাল বিজেপির পতাকা ধরেছেন কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক তথা এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জিতিন প্রসাদও (Jitin Prasad)। বুধবার দিল্লিতে দিন্দয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির দফতরে আনুষ্ঠানিক যোগদান পর্ব সাঙ্গ হতেই কংগ্রেসের অন্দরে-বাইরে তাই নতুন জল্পনা ছড়িয়েছে, এর পরে কে। আর বেছে বেছে ঠিক এই সময়েই সচিন পাইলটের (Sachin Pilot) গলায় বিদ্রোহের সুর চড়েছে। তাই তাঁকে ঘিরেও জল্পনা উস্কে উঠেছে। এরই পাশাপাশি আলোচনায় দলে 'বিদ্রোহী' কপিল সিব্বলও। কিন্তু কপিল জানিয়ে দিলেন, যাই হয়ে যাক না কেন, জিতিন প্রসাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন না তিনি।