এই খবর এমন এক ভগ্নীপতিকে নিয়ে যিনি তাঁর শ্যালিকার প্রেমে পাগল! তিনি সম্প্রতি এমন একটি কাজ করে ফেলেছিলেন যা লোকেদের শোলে সিনেমার বীরুর কথা মনে করিয়ে দেয়। আসলে, এই ব্যক্তিকে যখন তাঁর শ্যালিকাকে বিয়ে করার অনুমতি না দেওয়া হয়, তখন তিনি এক বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠে হট্টগোল শুরু করে দেন। এই সময়ে তিনি জোরে জোরে চিৎকার করতে শুরু করেন যে যদি তাঁকে তাঁর শ্যালিকাকে বিয়ে করতে না দেওয়া হয়, তাহলে তিনি উঁচু থেকে লাফিয়ে পড়বেন। তাঁর চারপাশে জড়ো হওয়া লোকেরা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাঁর নাটক চলতেই থাকে। অবশেষে পুলিশ এসে অনেক চেষ্টার পর তাঁকে নামিয়ে আনে। পুরো ঘটনাটি কনৌজ জেলার ছিবরামাউয়ের খোজিপুর গ্রামের বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কনৌজের ছিবরামাউয়ের খোজিপুর গ্রামে। খোজিপুরের বাসিন্দা নভল কিশোর বিষনগড়ের এক মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। নভলের স্ত্রী প্রায় ১ বছর আগে মারা যান। এরপর নভল তাঁর স্ত্রীর দ্বিতীয় বোনকে বিয়ে করেন। কিছু দিন সব কিছু ঠিকঠাক চললেও কিছু বিষয় নিয়ে নভল এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এর পর নভল তাঁর প্রথম স্ত্রীর তৃতীয় বোনকে ভালবাসতে শুরু করেন। বিষয়টি এতটাই বেড়ে যায় যে নভল এই ছোট বোনকে তৃতীয়বার বিয়ে করতে চান এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে মেয়েটির পরিবারের সদস্যদেরও মনের কথা জানান।
কিন্তু নভলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাজি হননি এবং তাঁর শ্যালিকাও তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। রাগে নভল ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে দীর্ঘক্ষণ ধরে হট্টগোল সৃষ্টি করেন। যখন তাঁর স্ত্রী এবং শ্যালিকা নভলের খুঁটিতে ওঠার খবর পান, তখন তাঁরা দুজনেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান। শ্যালিকার অনুরোধে এবং শ্যালিকা তাঁর প্রস্তাবে হ্যাঁ বলার পরেই নভল খুঁটি থেকে নেমে আসেন। নেমে আসার পর নভল জানান যে তিনি তারঁ শ্যালিকাকে বিয়ে করতে চান।
ছিবরামাউ থানার ইনচার্জ বিষ্ণুকান্ত তিওয়ারি ফোনে জানান যে, এক যুবক বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠেছিলেন এবং তাঁকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৫১ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যাতে তিনি আর কোনও হট্টগোল না করেন। বর্তমানে, যুবককে হেফাজতে রাখা হয়েছে।