JNU তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯ ফেব্রুয়ারি JNU-র ওই বিতর্কিত সভায় আফজাল গুরুর উপর তৈরি ডকুমেন্ট্রি দেখানো হয় ৷ এই ডকুমেন্ট্রির মূল উদ্যোক্তা ছিল উমর খালিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য ৷ রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ধৃত কানহাইয়া কুমারও ছিলেন তাদের দলে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে ৷ সবরমতী ও গঙ্গা ধাবার সামনে ছিলেন কানহাইয়া ৷ সেখানে মূলত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ রিপোর্টে তদন্তকারীদের দাবি, নিরাপত্তা রক্ষীদের অন্য ছাত্রদের সরাতে নির্দেশ দেন কানহাইয়া ৷ তাতে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কানহাইয়া ও অন্যান্যদের ধস্তাধস্তি শুরু হয় ৷ এতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে অশান্তি ৷ কানহাইয়া কুমারের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা ৷ তাদের মতে, ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আড়ালে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছিলেন অভিযুক্ত ছাত্ররা ৷ কর্তৃপক্ষের বারণকে গুরুত্ব না দিয়েই ওই সভা করেছিলেন কানহাইয়ারা ৷ এতেই বিঘ্নিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলা ৷’ JNU কমিটির এই প্রাথমিক রিপোর্টে ফের নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল ৷ মঙ্গলবারই দিল্লি হাইকোর্ট কানহাইয়া কুমারের জামিনের শুনানি বুধবার অবধি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে ৷ এদিন কোর্টে সরকার পক্ষের উকিল দাবি করেন, কানহাইয়ার বিরুদ্ধে তাদের হাতে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে ৷
advertisement