কিন্তু এরপরও কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদীদের রক্তচক্ষু এড়িয়ে প্রথম ঋতুমতী মহিলা হিসাবে শবরীমালার মন্দিরে প্রবেশ করে ইতিহাস গড়েছিলেন কনক দুর্গা । তারপরই জীবনে নেমে আসে একের পর এক বিপর্যয়! ঘরে-বাইরে নানা বিরোধের মুখে পড়েন, প্রাণে বাঁচাতে লুকিয়েও ছিলেন গোপন আস্তানায়ও। কিন্তু শেষমেশ নিজের বাড়িতেই বিপর্যয় এড়াতে পারলেন না । মঙ্গলবার নিজের বাড়িতেই শাশুড়ির হাতে আক্রান্ত হলেন কনক দুর্গা ।
advertisement
অভিযোগ, শবরীমালার মন্দিরে প্রবেশের ১৩ দিন পর বাড়ি ফিরতেই কনক দুর্গার উপর হামলা করেন তাঁর শাশুড়ি। তাঁর মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে সজোরে আঘাত করা হয়। বাড়ির বাইরে পুলিশ প্রহরা থাকা সত্ত্বেও বিপত্তি এড়াতে পারেননি কনক। আপাতত গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে পেরিনথলমন্নায় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত ২ জানুয়ারি শবরীমালার আায়াপ্পা মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন ৩৯ বছরের কনক। সঙ্গে ছিলেন ৪০ বছরের বিন্দু আম্মিনিও। এর পর থেকেই কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির রোষানলে পড়েছেন কনকরা। মন্দির থেকে বেরিয়ে সোজা নিজের বাড়িতে ফিরতে পারেননি কনক। প্রাণসংশয়ের হতে পারে, এই আশঙ্কায় লুকিয়ে ছিলেন কোচির অদূরে একটি গোপন আস্তানায়। প্রায় দু’সপ্তাহ পর পুলিশি প্রহরায় নিজের বাড়িতে পা রেখেছিলেন তিনি। বাড়ির বাইরে আট জন পুলিশকর্মীর প্রহরাও ছিল তাঁর সুরক্ষায়। কিন্তু তাও বাঁচলেন না কনক !
আরও পড়ুন-রথযাত্রায় না সুপ্রিম কোর্টের, আদলতের নির্দেশ মেনে চলব জানালেন দিলীপ