তবে তিনি কিন্তু জয়ের প্রত্যাশী নন। বলেছেন, ‘‘সকলেই নির্বাচনে জিততে চান। কিন্তু আমি চাই না। আমি হেরেই খুশি।’’ কারণ তিনি মনে করেন নির্বাচনে জয় নয়। যোগদানই আসল। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি তামিলনাড়ুর ধর্মপুরী জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। পুরসভার ভোট থেকে শুরু করে একাধিক ধরনের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তিনি। পরিচিত মহলে তিনি পরিচিত ‘নির্বাচনের রাজা’ নামে।
advertisement
কার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি তিনি? তিনি নরেন্দ্র মোদি, অটলবিহারী বাজপেয়ী, মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধি-সকলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘জয় আমার কাছে সেকেন্ডারি। আমার বিপরীতে কে আছেন, সেটাও ভাবি না।’’ গত তিন দশকে তিনি কয়েক হাজার ডলার খরচ করেছেন মনোনয়নের অর্থ বাবদ। এখনও পর্যন্ত তাঁর সেরা পারফরম্যান্স ছিল ২০১১ সালে। সে বছর তিনি মেত্তুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সে বার তিনি ৬২৩৭ ভোটে জয়ী হন। অথচ সে বার তিনি একটা ভোটও পাবেন বলে ভাবেননি।
আরও পড়ুন : চলতি মাসেই তীব্র তাপপ্রবাহ এই রাজ্যগুলিতে! আসছে ভয়াবহ গরম ! জানুন বাংলার ওয়েদার কী হবে
টায়ার সারাইয়ের পাশাপাশি টুকটাক হোমিওপ্যাথি ডাক্তারি করেন। স্থানীয় একটা পত্রিকাও চালান। কিন্তু তাঁর কাছে সবথেকে পছন্দের কাজ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। তিনি মনে করেন দ্বিধা সরিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়াই সেরা কাজ। সেদিক থেকেই তিনি আদর্শ। প্রতি নির্বাচন থেকে নিজের মনোনয়নপত্র এবং অন্যান্য পরিচয়পত্র যত্ন করে গুছিয়ে রেখে দিয়েছেন।
নির্দল প্রার্থী হিসেবে কে পদ্মরাজন বিভিন্ন প্রতীক বেছে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মাছ, আংটি, টুপি, টেলিফোন তাঁর প্রতীক হয়েছে বিগত বছরগুলিতে। চলতি বছর তাঁর প্রতীক টায়ার। জয়লাভ নয়, তাঁর বিশ্বাস যোগদানে। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। বলছেন হার-না-মানা লড়াকু মনোভাবের কে পদ্মরাজন।