সমস্যার শুরু গত রবিবার থেকে। সোশ্যাল মিডিয়া ভেসে যেতে থাকে দিল্লি বিমানবন্দরে আটকে থাকা যাত্রীদের হয়রানির পোস্টে। যে দিকে দু-চোখ যায়, শুধুই কালো মাথার থিকথিকে ভিড়। এমন ছবিতে ভরে যায় সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ। কর্তৃপক্ষ এবং অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রককে ট্যাগ করে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিতে শুরু করেন হয়রান হওয়ার যাত্রীরা। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে পড়ে যে, সোমবার দিল্লি বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনালে গিয়ে অবস্থা খতিয়ে দেখেন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
advertisement
সোমবার সমস্ত পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার সময় তিনি বলেন, "আমরা বিষয়টি দেখেছি, বটলনেক কী ভাবে কাটানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছি। পরিস্থিতি সামলানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে CISF নিয়োগ করা হচ্ছে।" পাশাপাশি, জ্যোতিরাদিত্য জানান, বিমানবন্দরে যাত্রীদের প্রবেশের জন্য গেট-এর সংখ্যা বাড়িয়ে ১৪ থেকে ১৬ করা হয়েছে। থাকছে নির্দিষ্ট ডিসপ্লে বোর্ডও। যেখানে, যাত্রীদের সুবিধার জন্য বিমানের সময় এবং ওয়েটিং টাইম দেখানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের বাড়ির কাছেই পরীক্ষাকেন্দ্র, টেট মিটতেই বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর
তবে, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে এক্স রে এরিয়ার কাছে। এত বিপুল সংখ্যক যাত্রীর দ্রুত লাগেজ চেক করার মতো পরিকাঠামো দিল্লি বিমানবন্দরে নেই বলেই সূত্রের খবর। মন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, এই সমস্যা সম্পর্কেও তাঁরা ওয়াকিবহাল। সমস্যা নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আজ সেই ১২ ডিসেম্বর, মিলবে শুভেন্দুর ভবিষ্য়দ্বাণী? বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে
বর্ষশেষের যাত্রীদের চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলি। কোভিড পূর্ববর্তী শূন্য যাত্রী অবস্থা থেকে দিন প্রতি যাত্রী সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লক্ষ ২৫ হাজারে। যাত্রী সামাল দিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দিল্লির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
তবে এদিন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিমানবন্দরে সবকিছু খতিয়ে দেখে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে জানাচ্ছেন যাত্রীরা। ফার্স্ট টাইম যাত্রীদের সামলাতে নিয়োগ করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক। তবে, বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, এই ভিড় তো শুধুই ট্রেলার। আসল ভিড় আসছে আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর থেকে।