প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের তরফে করা অভিযোগে, অভিষেক মনু সিংভি ও কপিল সিব্বালের সওয়ালের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে শুক্রবারের মধ্যে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আজ অর্থাৎ শুক্রবার ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই রায় দিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির এই মামলা সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
advertisement
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের হাতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। তিনি জেল হেফাজতে থাকাকালীন অভিযোগ তুলেছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই, ইডি হাই কোর্টে আবেদন জানায়, অভিষেককেও তদন্তের আওতায় আনা উচিত। তাঁকে জেরার অনুমতি দিক আদালত। তাতে সায় দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
এরপরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিয়োগ সংক্রান্ত এই মামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টিগোচর করায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা।
গত ২৪শে এপ্রিল অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের পক্ষে মনু সিঙ্ঘভি ও কপিল সিব্বাল অভিযোগ করেন, 'নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় অর্থাৎ বিচারাধীন মামলায় সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কোড অফ কন্টাক্ট ভেঙেছেন। যার পরেই এর সমস্ত রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এরপরেই আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রসঙ্গে এই রায় দেয় শীর্ষ আদালত।