পোস্ট কোভিড সিন্ড্রম জাঁকিয়ে বসেছিল। চলতি বছরের শুরুর দিকে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে সেরে উঠে বাড়ি ফিরেছিলেন। তার পর থেকে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয় তাঁর। গত সপ্তাহে ফের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁর মেয়ে কৌতুক শিল্পী ও অভিনেত্রী মল্লিকা দুয়া বাবার স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানাতেন। শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিনোদ দুয়া। বাবার মৃত্যুসংবাদ দেন মল্লিকা।
advertisement
আরও পড়ুন- চারদিকে ধু ধু প্রান্তর, এখানেই রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ সোনার ভান্ডার!
এদিন মল্লিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, আমাদের প্রিয় বাবা যিনি নির্ভীক ও সাহসী সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন, প্রয়াত হয়েছেন। উদবাস্তু কলোনি থেকে উঠে এসে গত ৪২ বছরে তিনি সাংবাদিকতা পেশায় সফল একজন মানুষ। অসামান্য জীবন কাটিয়েছেন তিনি। বাবা সবসময় আমাদের বলতেন, সত্যের পথ ছাড়া যাবে না। সাহসের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বাবা আমাদের মায়ের সঙ্গে স্বর্গে থাকবেন। আমরা নিশ্চিত তাঁরা সেখানেও ফের একসঙ্গে গান গাইবেন, রান্না করবেন, ঘুরবেন এবং নিশ্চিতভাবে ঝগড়াও করবেন।
দূরদর্শন, এনডিটিভি-তে সাংবাদিকতার একনিষ্ঠ সাধনা করেছেন বিনোদ দুয়া। শাসক দলের বিরুদ্ধে লেখার আগে কখনও তাঁর কলম কাঁপেনি। কখনও শাসক দলের নেতাকে প্রশ্ন করতে তিনি দ্বিধা করেননি। যার জন্য একাধিকবার শাসক দলের নেতাদের রক্তচক্ষুও দেখেছেন তিনি। তবে সাংবাদিক বিনোদ দুয়াকে দমানো যায়নি কখনও। ভারতীয় সাংবাদিকতায় তাঁর নাম সাহসী সাংবাদিক হিসেবে স্মরণীয় হবে। হিন্দি ভাষায় তাঁর সংবাদপাঠ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে শিক্ষনীয় ও অনুসরণযোগ্য ছিল।
আরও পড়ুন- ঘণ্টায় ১০০ কিমি গতিবেগে তোলপাড় করার সম্ভাবনা! স্কুল বন্ধ-পরীক্ষা বাতিল
চলতি বছর জুলাই মাসে স্ত্রী চিন্না দুয়াকে হারিয়ে কিছুটা মনমরা হয়ে পড়েছিলেন বিনোদ দুয়া। তাঁর স্ত্রী ছিলেন পেশায় রেডিওলজিস্ট। বিনোদ দুয়ার শো জন গণ মন কি বাত একটা সময় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল।