বৃহস্পতিবারই জোশীমঠ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি, পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব, জলসম্পদ মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখওয়াত, বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিং, স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাললা।
এ ছাড়াও সেনা আধিকারিক, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন অমিত শাহ। জোশীমঠে উদ্ধারকাজে গতি বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
advertisement
এদিকে জোশীমঠে ভাঙনযুক্ত বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। তারমধ্যে একটি পরিবারের মেয়ের বিয়ে রয়েছে। তার মধ্যে এই পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়েছেন পরিবারটি। পাত্রীর মা বলেছেন, "মার্চ মাসে আমার মেয়ের বিয়ে। প্রশাসন আমার বাড়িতে দাগ দিয়ে দিয়েছে। এখন আমরা বুঝতে পারছি না বা কোথায় যাব। বিয়ের জন্য যে সমস্ত সামগ্রী কেনা হয়েছে সেগুলো কোথায় রাখব বুঝতে পারছি না। আমার মেয়ের বিয়ে এই বাড়ি থেকেই দিতে চাই।"
পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে বুধবার দিনভর দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান জোশীমঠের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামলাতে রাতের অন্ধকারেই জোশীমঠ পৌঁছতে হয় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামিকে। ফাটল দেখা দেওয়ায় ইতিমধ্যেই জোশীমঠের ৭২৩টি বাড়িকে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১৩১টি পরিবারকে। গত মঙ্গলবার থেকেই বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা জোশীমঠের দুটি হোটেল ভাঙার কাজ করতে চাইছিল প্রশাসন। কিন্তু, মঙ্গলবার এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়ে সে কাজ না করেই ফিরে আসতে হয় ইঞ্জিনিয়ারদের।
আরও পড়ুন : ২২ কিমি লম্বা সেতু! কোথায় তৈরি হচ্ছে ভারতের দীর্ঘতম সি-লিঙ্ক? জেনে নিন খুঁটিনাটি
বুধবার ফের NDRF, SDRF এবং পুলিশকর্মীদের নিয়ে হোটেল দুটি ভাঙতে যান ইঞ্জিনিয়াররা। কিন্তু তাঁদের দেখা মাত্রই ফের বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ না দিলে বাড়ি ছাড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন বাসিন্দারা।
পরিস্থিতি সামলাতে বুধবার গভীর রাতেই জোশীমঠ পৌঁছন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। জানান, আপাতত, প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেড় লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। ত্রাণকাজ চলছে। বাকি ক্ষতিপূরণ বসতবাটির বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী ঠিক করা হবে। গোটা ত্রাণ প্রক্রিয়ার জন্য আপাতত ৪৫ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ধামি।