আইনজীবীদের সঙ্গে প্রবল ধস্তাধস্তিতে আহত হয় জমায়েতে উপস্থিত বহু ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা ৷ অভিযোগ, প্রচুর সশস্ত্র পুলিশ থাকা সত্ত্বেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেননি ৷ শুধু দর্শকের মতো দূর থেকে দাঁড়িয়ে এই গন্ডগোল দেখেছেন ৷ সাংবাদিকদের ক্যামেরা ফুটেজে বিজেপি বিধায়ক ওপি শর্মাকেও এক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে মারধর করতে দেখা যায় ৷ পরে এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি বিধায়ক ও পি শর্মাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশভক্তির ঠেকা নিয়েছি ৷ যে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলবে তাকে পেটাব ৷ আমরা তাকে শুধু ধরেছিলাম ৷’
advertisement
পাটিয়ালা হাউস কোর্টের বাইরে এই ধস্তাধস্তি-আক্রমণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেএনইউ প্রফেসর আয়েসা কিদওয়াই বলেন, ‘ পাঁচজন মহিলা-সহ আমাদের সাতজন ফ্যাকাল্টি মেম্বার এই ধস্তাধস্তিতে আহত হয়েছেন ৷’ জমায়েতে উপস্থিত মানুষেরা জানান, তাদের ধাক্কা দিতে দিতে কোর্ট চত্বরের বাইরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে একদল আইনজীবী ও বিজেপির সদস্যরা ৷ ধস্তাধস্তি, লাথি, মারধর সবই চলে এই সময় ৷ অভিযোগ মারধরের পাশাপাশি সাংবাদিকদের মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয় ৷ ধস্তাধস্তিতে জামাকাপড়ও ছিঁড়ে যায় বহুজনের ৷ জমায়েতে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানান, অভিযুক্ত আইনজীবীর দল সবাইকে এসে এসে জিজ্ঞেস করছিল, ‘তুমি কি জেএনইউ থেকে এসেছ?’ তারপর ভিড় থেকে চিহ্নিত করে জেএনইউ থেকে আসা মানুষদের উপর আক্রমণ চালানো শুরু হয় ৷ এই ঝামেলার মাঝখানে বুঝতে না পেরে সাংবাদিকদেরও মারধর করে অভিযুক্তরা ৷
তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমারকে এদিন কোর্টে পেশ করে দিল্লি পুলিশ ৷ শুনানিতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ধৃত কানহাইয়া কুমারকে আরও দু’দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত ৷