জিরিবাম-ইম্ফল নতুন লাইন রেলওয়ে প্রকল্পটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১০ কিমি। কঠিন ভূখণ্ডের এই প্রকল্পে রয়েছে একাধিক সুড়ঙ্গ ও সেতু। প্রকল্পটির ৫২টি সুড়ঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা সুড়ঙ্গটি হল ১২ নং সুড়ঙ্গ। ৮.৩ কিমি দৈর্ঘের একটি প্যারালাল সেফটি টানেল-সহ ৫২৯ মিটার আরসিসি র্যাম্প নিয়ে এর মোট দৈর্ঘ্য ১০.২৭৫ কিমি।
advertisement
১২নং সুড়ঙ্গটি দুর্বল মাটি-সহ সবচেয়ে জটিল ভূতাত্ত্বিক অবস্থার মধ্য দিয়ে অতিক্রম হয়েছে। এই প্রসারিত মাটির মধ্য দিয়ে সুড়ঙ্গের কাজ সবচেয়ে প্রত্যাহ্বানমূলক কাজ এবং প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও অন্যান্য লজিস্টিক বাধা-বিপত্তির মতো সমস্ত ধরনের প্রত্যাহ্বান সত্ত্বেও কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা পূর্ণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই জটিল সুড়ঙ্গের কাজের জন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য ভার্টিক্যাল শ্যাফ্ট কনস্ট্রাকশন টেকনোলজি গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বিজেপি বাংলা ভাগ চায় না, শিলিগুড়িতে বললেন দিলীপ ঘোষ, পালটা বিজেপিকে খোঁচা গৌতম দেবের
সাধারণত এই টেকনোলজি শুধুমাত্র মেট্রো প্রকল্পের জন্যই ব্যবহার করা হয়। ইম্ফল উপত্যকার জটিল ভূতাত্ত্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং ব্যালান্স টানেলিং স্ট্রেচ-এর নির্মাণ সময় হ্রাস করার জন্য ভার্টিক্যাল শ্যাফ্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এর ফলে টানেলের কাজ দ্রুতিগতিতে সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। গ্যান্ট্রি ক্রেন ও অন্য আধুনিক মেশিনের সাহায্যে ভার্টিক্যাল শ্যাফ্ট-এর মাধ্যমে সমস্ত টানেলিং কাজ করা হবে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে বিস্ময়কর পরিকাঠামোমূলক কাজ সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য অর্জন করে আসছে। রেলের পক্ষ থেকে জিরিবাম-ইম্ফল প্রকল্পে অত্যধিক উচ্চতা ও পাহাড়ি সুড়ঙ্গগুলির সফল সমাপ্তির পাশাপাশি ব্যাপকভাবে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
আবীর ঘোষাল