দিল্লির এক আইটি সংস্থার অপারেশন ম্যানেজার ছিলেন জিগাশা ঘোষ ৷ ২০০৯ সালের ১৮ মার্চ অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করা হয় জিগাশা ঘোষকে৷ এই অপহরণের ঠিক দু’দিন পর ২০ তারিখ হরিয়ানার সূরজখন্ড এলাকা থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ জিগাশার ক্রেডিড কার্ড নিয়ে শপিং করতে গেলে এবং সিসিটিভি-র ফুটেজের মধ্যে দিয়েই পুলিশের হাতে আসে এই তিন দোষী ৷
advertisement
২০০৯ সালে ঘটনাটি ঘটলেও, দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলতে থাকে এই তিন দোষীর বিরুদ্ধে ৷ বহুদিন শুনানি চলার পর গত ১৮ জুলাই ৩ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লি একটি আদালত ৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১, ৩৬৪, ৩৯৪,৪৬৮, ৪৭১ এবং ৩৪ ধারা অনুযায়ী, তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয় ৷ শনিবার তিনজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের আর্জি জানান সরকারি আইনজীবী ৷ সোমবার দুই দোষী রবি কাপুর ও অমিত শুক্লাকে মৃত্যু দণ্ড দেওয়া হয় এবং আরেক গোষী বলজিৎকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে আদালত৷
সোমবার মামলার শুনানির পর জিগাশার মা জানান, ‘আমি আমার মেয়েকে হারিয়েছে ৷ তাঁকে আর ফিরে পাব না ৷ ধন্যবাদ আদালতকে, আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তারা শাস্তি পাচ্ছে ৷ আশা করি ভবিষ্যতে অন্য কোনও মায়ের সঙ্গে এরকম ঘটবে না ’
রবি কাপুর, অমিত শুক্লা ও বলজিতের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সৌম্য বিশ্বনাথন এবং এক ট্যাক্সিচালককে খুনের অভিযোগও রয়েছে। সেই মামলাও চলছে আদালতে।