হেমন্ত সোরেনদের সঙ্গে জোট বাঁধার সিদ্ধান্ত এবার সুফল হিসেবে দেখা দিয়েছে কংগ্রেসের কাছেও ৷ গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার তারাও ঝাড়খন্ডে বেশি সিট পেতে চলেছে ৷
কংগ্রেস ভোটের সময়েই জানিয়ে দিয়েছিল যে হেমন্তকে মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিদার হিসেবে মানতে তাদের শিবিরের পক্ষ থেকে কোনও অসুবিধা নেই ৷ ঝাড়খন্ডের সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হওয়া হেমন্ত সোরেনকে সমর্থন করার সিদ্ধান্তই কংগ্রেসের জন্য আশীর্বাদ হতে চলেছে ৷ অক্টোবর মাসেই ঝাড়খন্ডে সিট ভাগাভাগি করে নিয়েছিল কংগ্রেস ৷ ভোটে তারা জেএমএমকেই তারা বড় ভাই হিসেবে মেনে নিয়েছিল ৷ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যসভা সাংসদ ধীরজ সাহু এ কথা বহুবার জানিয়েছেন ৷ তিনি জানিয়েছেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী এই তত্ত্বেই ঝাড়খন্ডে নির্বাচন প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়ে সিলমোহর দিয়েছিলেন ৷
advertisement
আরও পড়ুন - ২২ বছরের পুরনো রেকর্ড ভাঙলেন রোহিত, ২০১৯ -র শেষ ODI তে যে নজির গড়লেন হিটম্যান
হেমন্ত সোরেন ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার অধ্যক্ষ ৷ বাবা শিবু সোরেন পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তিনিও মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন ৷ ২০১৩ সালে হেমন্ত সোরেন আরজেডি, কংগ্রেস ও নির্দল নিয়ে সরকার গড়েছিলেন ৷ ২০১৪ অবধি পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদে আসীন ছিলেন তিনি ৷ ১৯৭৫ সালে জন্মেছেন হেমন্ত সোরেন . রাজনীতির পোড় খাওয়া আঙিনায় নিজের বুদ্ধিতে স্বচ্ছন্দ বিচরণ করেন শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত সোরেন ৷
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি উপমুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন তিনি ৷ রাজ্য মদ বন্ধের ক্ষেত্রে জোরালো দাবিদার তিনি ৷ অর্জুন মুন্ডা যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী ৷ বাবা শিবু সোরেন যেভাবে লোকজনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রাখেন ঠিক তেমনিই হেমন্ত সোরেনও সেভাবেই কাজ করেন ৷ আদিবাসীরা মদের নেসায় জীবন কাটিয়ে সমস্ত কিছু নষ্ট করে ফেলে, এই বিষয়টিকে পরিবর্তিত করে রাজ্যের অর্থনীতিতে এদের সক্রিয়ভাবে কাজে লাগাতে চান হেমন্ত সোরেন ৷
আরও দেখুন