নিজের নামে কয়লা খনি লিজ দিয়ে হেমন্ত সোরেন নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতেই সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ ব্যাসকে সুপারিশ করে নির্বাচন কমিশন৷ সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর, আজই সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়ে দেবেন রাজ্যপাল৷
আরও পড়ুন: একশো দিনের ভুয়ো টাকা উদ্ধারে সময় বেঁধে দিল নবান্ন, আরও কড়া নির্দেশ
advertisement
পরিস্থিতি আন্দাজ করে আগেভাগেই নিজেদের বিধায়কদের নিরাপদ ডেরায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে জেএমএম এবং কংগ্রেস৷ নিজের বাসভবনে সব বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে সোরেন৷ তার পর একটি বাসে করে বিধায়ক, মন্ত্রীদের নিয়ে গোপন ডেরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সোরেন৷ নিজেদের গাড়িতে রওনা দেন বেশ কয়েকজন বিধায়ক৷ পরে দেখা যায়, ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলায় লাটারু বাঁধের পাশে একটি অতিথিশালায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ বিজেপি যাতে শাসক শিবিরের বিধায়কদের দিকে হাত না বাড়াতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা৷
আরও পড়ুন: তাঁকে নিয়ে তোলপাড় রাজ্য! বিতর্ক চিঠি নিয়ে গোপন জবানবন্দি দিলেন বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ো
হেমন্ত সোরেন ট্যুইট করে অভিযোগ করেন, 'রাজনৈতিক ভাবে আমাদের সঙ্গে এঁটে না উঠতে পেরে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে৷ কিন্তু আমরা উদ্বিগ্ন নই, মানুষই আমাদের ক্ষমতায় এনেছেন৷ যা পারবেন করে নিন৷ মানুষের জন্য আমার কাজ থামবে না৷' কংগ্রেসও স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা সোরেনের পাশেই রয়েছে৷
বিধায়ক পদ খারিজ হলেও নতুন করে নির্বাচনে লড়তে পারবেন সোরেন৷ বিজেপি অবশ্য নৈতিকতার কথা তুলে সোরেনের পদত্যাগ দাবি করেছে৷
৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় শাসক জোটের হাতে ৪৯ জন বিধায়ক রয়েছেন৷ এর মধ্যে জেএমএম-এর বিধায়ক সংখ্যা ৩০৷ কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ১৮ জন বিধায়ক৷ আর একজন বিধায়ক রয়েছে আরজেডি-র৷ অন্যদিকে বিজেপি-র হাতে রয়েছে ২৬ জন বিধায়ক৷