ঝাড়খণ্ডের মোট ৮১ আসনে ভোট হয়। জেএমএম-এর নেতৃত্বে থাকা ইন্ডিয়া জোট সেখানে ৫৬ আসনেই জিতেছে। এককভাবে জেএমএম পেয়েছে ৩৪টি আসন। ইন্ডিয়ার অন্য শরিকদের মধ্যে কংগ্রেস ১৬, আরজেডি ৪, সিপিআই-এমএল ২। বিজেপি পেয়েছে ২১টি আসন। ২০০০ সালে ঝাড়খণ্ড তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম বিজেপির এত খারাপ ফল হয়েছে এ রাজ্যে। হেমন্ত তাঁর কেন্দ্র বরহাইটে বিজেপি প্রার্থী গামলিয়েল হেমব্রমকে ৩৯ হাজার ৭৯১ ভোটের মার্জিনে হারিয়েছে। জিতে হেমন্তের প্রথম কথাই ছিল, ‘আমরা গণতন্ত্রের পরীক্ষায় পাশ করেছি।’
advertisement
আরও পড়ুন: জন্ম কলকাতায়, সোনালি দিন ফেরাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাজি এক বাঙালি! কে এই জয় ভট্টাচার্য?
আর এই আবহেই আজ শপথ সমারোহ অনুষ্ঠান হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে৷ মোরাবাদ ময়দানে হবে এই অনুষ্ঠান। বিশাল মঞ্চ সাজিয়ে তোলা হয়েছে আঞ্চলিক শিল্প সংস্কৃতি দিয়ে। বিশাল ময়দানের একপ্রান্তে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অন্যদিকে মূল মঞ্চ জুড়েও ইন্ডিয়া জোটের ছোঁয়া রাখা হয়েছে।
লোকসভা ভোটের পরে, ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে থাকা কংগ্রেসের ফল নিয়ে বারবার চর্চা হয়েছে। তাদের তুলনায় আঞ্চলিক দলগুলো কীভাবে ভাল ফল করেছে তার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র মতো সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা ভোটে রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট আঞ্চলিক দলের থাকলেও, ঝাড়খণ্ডের পড়শি রাজ্য বাংলাতে সেই আবহ ছিল না। বরং সেখানে কংগ্রেস বিপক্ষে থেকে লড়াই চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে৷ এই অবস্থায় ঝাড়খণ্ড জয়ের পরে, জোটসঙ্গী হেমন্তের শপথে আজ এক মঞ্চে থাকবেন রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে মুখ করে এগোনো হোক, এমন আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে একাংশ। এই অবস্থায় আজ পাশাপাশি দুই হেভিওয়েটের উপস্থিতি নজর কাড়বে রাজনৈতিক মহলের।