রবিবার গভীর রাতে পটনায় নীতিশের বাসভবনে লোকসভার আসন নিয়েই বৈঠক হয় ৷ এরপরই সাংবাদিক সম্মেলন করেন জেডিইউ নেতা কে সি ত্যাগী ৷ তাঁর বক্তব্য, বিহারে বিজেপির থেকেও ক্ষমতাশালী দল জেডিইউ ৷ তাই লোকসভা ভোটে জোট বেঁধে লড়লেও বিজেপির থেকে বেশি আসনে লড়াই করবে জেডিইউ ৷ তাহলে বিহারে লড়াইটা অনেক সহজ হবে ৷ এমনটাই দাবি ত্যাগীর ৷
advertisement
অপরদিকে, বিজেপি কে সি ত্যাগীর এই যুক্তি মানতে নারাজ ৷ তাদের বক্তব্য, বিহারে জেডিইউ আঞ্চলিক দল হিসেবে শক্তিশালী দল হতে পারে ৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে নীতিশ কুমার নেহাতই নগণ্য ৷ যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ জেডিইউ ৷ গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির থেকে অনেক বেশি আসনে জিতেছিল জেডিইউ ৷ লোকসভা ভোটেও সেই যুক্তি দেখিয়েই লড়তে প্রস্তুত নীতিশ কুমার ৷ তাদের বক্তব্য, লোকসভা ভোটে ৪০টা আসনের মধ্যে ২৫টায় তারা লড়বে, বাকি ১৫টা দেওয়া হবে বিজেপিকে ৷
গত লোকসভা ভোটের দিকে যদি চোখ রাখা যায়, ৪০টা আসনের মধ্যে ৩১টা পেয়েছিল এনডিএ । ইউপিএ পায় ৭টা, জেডিইউ মোটে ২। অর্থাৎ জেডিইউ-র হাত না ধরেও বিজেপি ৩১টি আসন জিতে নেয়।
ঘটনা হল, উপনির্বাচনে বিহারের একটি কেন্দ্রে বিপুল ভোটে হেরেছে বিজেপি ৷ এরপরই এনডিএ-তে ফাটলের ইঙ্গিতটি ক্রমশ স্পষ্ট হয়েছে ৷ এই কয়েকটা উপনির্বাচনে হারের পর এবার রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশ নির্বাচন মোদি-শাহের কাছে যথেষ্ট চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷