ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার গভীর রাতে, ইনদওর–ভোপাল হাইওয়ের ধারে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা আরও চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ, ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসের ভিতরে ও বাইরে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। ক্যাম্পাসের সম্পত্তিতেও ভাঙচুর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ছাত্রছাত্রী কয়েক সপ্তাহ ধরেই জন্ডিসে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। প্রায় ২৪ জন একসঙ্গে অসুস্থ হওয়ায় উদ্বেগ আরও বাড়ে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, হস্টেলের খাবারের নিম্নমান, স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং নোংরা পরিবেশের কারণেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এমনকি গত মাসে তিনজন জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলেও দাবি ওঠে। কিন্তু বারবার কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
advertisement
সেই ক্ষোভ থেকেই মঙ্গলবার মধ্যরাতে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাসে জড়ো হন। স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। দুইটি গাড়ি, একটি বাস, একটি অ্যাম্বুল্যান্স ও কয়েকটি বাইকে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। উত্তেজিত জনতার একটি অংশ আচার্যের বাংলোর কিছু অংশও ভাঙচুর করেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পরে আরএসএস–ঘনিষ্ঠ ছাত্র সংগঠন এবিভিপি’র কর্মীরা এগিয়ে আসেন। পাশাপাশি সেহোরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে ক্যাম্পাস ঘিরে ফেলে। তবে রাতভর উত্তেজনার পরও ভিআইটি কর্তৃপক্ষের তরফে এখন পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
