আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কি বর্তমানে ভারত সফরে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের বৈঠকের পরেই ওই যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়। এই বিবৃতিতেই বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান। বিবৃতিতে কী লেখা?
চিতার মতো ‘স্পিড’! দেশের এই শহরে ট্রেন চলে জলের তলায়! চড়তে হলে নামতে হবে ১১তলা গভীরে
দীপাবলির আগে যদি এই ৫ স্বপ্ন দেখেন, বুঝে নিন ‘সৌভাগ্য’ আপনার দুয়ারে! আসছে ‘ভাল’ সময়!
advertisement
বিবৃতিতে ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগামে সংঘটিত সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। সেখানে জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে সরাসরি “ভারত” শব্দটি উল্লেখ করা হয়, যা থেকে স্পষ্ট যে তালিবানও জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসেবেই স্বীকার করছে। জম্মু-কাশ্মীরকে “ভারতের অংশ” বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেই বিবৃতিতে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম এশিয়া ও আফগানিস্তান বিষয়ক অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব আফগান রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ভারতের সঙ্গে প্রকাশিত ওই যৌথ বিবৃতির প্রতি পাকিস্তানের “তীব্র আপত্তি” জানিয়েছেন। পাকিস্তান জানিয়েছে, “জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসেবে বর্ণনা করা নিরাপত্তা পরিষদের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবগুলির স্পষ্ট লঙ্ঘন।”
তালিবান মন্ত্রীর মন্তব্যে আপত্তি ইসলামাবাদের
এছাড়াও, আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুতাক্কির মন্তব্য— “সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা”— ইসলামাবাদ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “আমরা বহুবার আফগান সরকারকে প্রমাণ দিয়েছি যে, টিটিপি-র মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আফগান মাটি ব্যবহার করে পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে।”
পাকিস্তানের বক্তব্য, “দোষ চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আফগান অন্তর্বর্তী সরকার তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। আফগানিস্তানকে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
আফগানিস্তানকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের
বিশেষজ্ঞদের মতে, মুতাক্কির ভারত সফর পাকিস্তানের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কারণ এতে ভারত ও আফগানিস্তানের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। শুক্রবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভারত এখন পাকিস্তানের মাধ্যমে প্রতিশোধ নিচ্ছে,” এবং সতর্ক করেন যে “আফগানিস্তানকেও এর পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে।”