“গত আট বছরে, আমি কংগ্রেসের কাছ থেকে কিছুই নিইনি, কেবল দিয়ে গিয়েছি। আজ যখন আমাকে জনগণের সামনে মাথা নত করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে কারণ তাঁরা আজ শীর্ষ নেতৃত্ব- এটা মেনে নেওয়া যায় না,” সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন তিনি। সনিয়া গান্ধিকে দেওয়া জয়বীর শেরগিলের পদত্যাগপত্রে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে তাঁরা ‘তোষামোদকারী’দের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন। তাঁর এই পদক্ষেপের প্রাথমিক কারণ হিসেবে জয়বীর জানান, কংগ্রেসের বর্তমান সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের আদর্শ এবং দৃষ্টিভঙ্গি আর যুব ও আধুনিক ভারতের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মেলে না।
advertisement
আরও পড়ুন- "নীতীশের সঙ্গে ঐতিহাসিক ইনিংস, কেউ রান আউট হব না," জোট নিয়ে আশাবাদী তেজস্বী যাদব
“এটা বলতে আমার কষ্টই হচ্ছে যে, দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ আর জনসাধারণের এবং দেশের স্বার্থের জন্য নয়, এটি বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে। বরং, এটি এমন ব্যক্তিদের স্বার্থ দ্বারা প্রভাবিত যারা তোষামোদ করতে পারে। এসব আমি নৈতিকভাবে মেনে নিতে পারি না,” লিখেছেন জয়বীর শেরগিল।
৩৯ বছর বয়সী এই আইনজীবী কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ এবং সবচেয়ে বিশিষ্ট মুখপাত্রদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। দুই প্রবীণ নেতা, গুলাম নবী আজাদ এবং আনন্দ শর্মা নিজ রাজ্যে তাঁদের দলীয় পদ ছেড়ে দেওয়ার পর এই মাসে এই নিয়ে তৃতীয় পদত্যাগ এটি।
আরও পড়ুন- এক ফ্রেমে মিলিন্দ-মোদি! 'ঐক্যের দৌড়' শেষে প্রধানমন্ত্রীকে গোপাল উপহার মিলিন্দের
গত কয়েক বছরে নির্বাচনী পরাজয় এবং সাংগঠনিক বিপর্যয়ের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে কংগ্রেস বেশ কিছু নেতাকে হারিয়েছে। ২০২০ সালে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, যিনি এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী জিতেন প্রসাদের দল ছাড়া দিয়ে শুরুটা হয়। এই বছর, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিবাল, অশ্বিনী কুমার এবং আরপিএন সিং দল ছেড়েছেন।