পরপর দুটি লোকসভায় বিপুল সাফল্য, বেশ কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি। গেরুয়া ইতিহাসে কখনও এমন ঘটেনি। গত ৬ বছরে অমিত শাহের নেতৃত্বে এই সাফল্য এসেছে। নতুন সভাপতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েও তাই অতি বিশ্বস্ত অমিত শাহের কথাও টানলেন নরেন্দ্র মোদি।
নরেন্দ্র মোদি - অমিত শাহের আস্থাভাজন হিসাবেই তাঁকে দেখে রাজনীতির জগৎ। অমিত শাহের পর সেই জগৎ প্রকাশ নাড্ডার হাতেই এখন বিজেপির দায়িত্ব। চিত্রনাট্য তৈরিই ছিল। অমিত শাহের জায়গায় বিজেপি সভাপতি হলেন জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। রাজনৈতিক মহলে যার পরিচয় জেপি নামে।
advertisement
সভাপতি পদে নাড্ডার নাম প্রস্তাব করেন দলের প্রাক্তন তিন সভাপতি অমিত শাহ, গড়কড়ি ও রাজনাথ সিং ৷ সভাপতি পদে নাড্ডা ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি ৷ দুপুরের পর বিজেপির নতুন সভাপতি হিসেবে নাড্ডার নাম ঘোষণা হয়। ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার গড়ার পর দলীয় সভাপতি হন নরেন্দ্র মোদির অতিবিশ্বস্ত অমিত শাহ।
২০১৯ সালে দ্বিতীয় মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন অমিত শাহ ৷ এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি মেনে তখনই সভাপতি পদ ছাড়েননি শাহ ৷ তখনই নাড্ডাকে কার্যকরী সভাপতি করা হয় ৷ বিজেপির ইতিহাসে প্রথম কার্যকরী সভাপতি। অমিত শাহের মতোই একেবারে ধাপে ধাপে বিজেপি শীর্ষপদে এসেছেন নাড্ডা।
১৯৭৮ সালে এবিভিপিতে থেকে জেপির রাজনৈতিক জীবন শুরু ৷ যদিও বিজেপির দাবি, আরেক জেপি অর্থাৎ জয়প্রকাশ নারায়ণের জরুরি অবস্থা বিরোধী আন্দোলনেও অংশ নেন নাড্ডা ৷ এরপর যুবমোর্চার সভাপতি পদ পান নাড্ডা ৷ ১৯৯৩ সালে হিমাচলের বিলাসপুর সদরের বিধায়ক নির্বাচিত। বিধায়ক হন পরপর তিনবার ৷ ২০১০ সালে দলের সাধারণ সম্পাদক হন ৷ ২০১২ সালে রাজ্যসভার সাংসদ করা হয় নাড্ডাকে ৷ ২০১৪-র লোকসভা ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন নাড্ডা ৷ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে ছিলেন তিনি ৷ বিজেপি কর্মীরাই বলেন, অমিত শাহের তুলনায় জেপি অনেক বেশি খোলামেলা ও আড্ডাবাজ। গত ৬ বছরে অমিত শাহের সভাপতিত্বে ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। সেই সাফল্য ধরে রাখাই অন্যতম চ্যালেঞ্জ মোদি-অমিতের ঘনিষ্ঠ জগৎপ্রকাশ নাড্ডার কাছে।
নাড্ডা সভাপতি হলেও দল পরিচালনার রিমোট কন্ট্রোল কি নরেন্দ্র মোদি - অমিত শাহের হাতেই থাকবে? নতুন বিজেপি সভাপতির বার্তা, বিজেপির আদর্শ মেনেই দলকে সাফল্য দিতে তিনি তৈরি। একদিকে বোঝা কমানো, অন্যদিকে এক দল - এক পদ - নীতি রূপায়ন - দুটি কারণেই জেডি নাড্ডাকে সামনে আনার সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।