কিন্তু, কেন এই দেরি? ইসরো জানিয়েছে, Mark-3 (LVM3-M6)-এর উড়ানের কথা ছিল বুধবার ৮টা বেজে ৫৪ মিনিটে৷ কিন্তু, ওই সময় ছাড়লে তার সঙ্গে মহাকাশে থাকা অন্য একটি স্যাটেলাইটের ভাঙা অংশের সঙ্গে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা প্রবল ছিল৷ সেই দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্যই ৯০ সেকেন্ড দেরিতে ছাড়া হয় রকেটটি৷
advertisement
বাহুবলী রকেটের সফল উৎক্ষেপণের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘ভারতের মাটি থেকে উৎক্ষেপিত সবচেয়ে ভারী উপগ্রহ, মার্কিন মহাকাশযান, ব্লুবার্ড ব্লক-২ কে নিয়ে সফল উৎক্ষেপণ LVM3-M6, ভারতের মহাকাশ যাত্রায় একটি গর্বিত মাইলফলক৷’
তিনি আরও লেখেন, ‘এই উৎক্ষেপণ ভারতের ভার-উত্তোলক উৎক্ষেপণ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করেছে৷ বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণ বাজারে ভারতের ক্রমবর্ধমান ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করেছে।’
এই প্রকল্পের বৃহত্তর তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘এটি দেশের স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিফলনও। এটি আত্মনির্ভর ভারতের দিকে আমাদের প্রচেষ্টার প্রতিফলন। আমাদের পরিশ্রমী মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের অভিনন্দন৷’
এই ব্লু বার্ড ব্ল-২ আমেরিকার US innovator AST SpaceMobile-এর একটি নেক্সট জেনারেশন কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট৷ এর মাধ্যমে কোনও বাড়তি সরঞ্জাম ছাড়াই মহাকাশ থেকে সোজা সাধারণ স্মার্টফোনে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে৷
চেন্নাই থেকে ১৩৫ কিলোমিটার পূর্ব উপকূলে অবস্থিত মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে নির্ধারিত সময়ের থেকে ৯০ সেকেন্ড দেরিতে রাজকীয় উড়ান নেয় ৪৩.৫ মিটার লম্বা এই রকেট৷
আরও পড়ুন: বড়দিনে শীতের কামড়! ১৩–১৪ ডিগ্রিতে নামতে পারে পারদ, কুয়াশায় ঢাকবে একাধিক জেলা
ইসরো জানিয়েছে, উড়ানের ১৫ মিনট পরে রকেটটি থেকে তার পিঠে করে নিয়ে যাওয়া BlueBird Block-2 riding বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে৷ তারপর ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫২০ কিলোমিটার উপরে মহাকাশের নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপিত হবে সেই স্যাটেলাইট৷
এই স্যাটেলাইট প্রতিস্থাপনের বিষয়টি ISRO-র বাণিজ্যিক শাখা নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড (NSIL) এবং আমেরিকার AST SpaceMobile (AST and Science, LLC)-র মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির অংশ৷
