নিরাপত্তারক্ষীবাহিনী সূত্রে খবর, এই আইসিস জঙ্গির বাড়ি ইউপি-এর বলরামপুরে। শনিবার থেকেই গোয়েন্দা দফতর এবং ইউপি-পুলিশের অ্যান্টি টেরর স্কোয়াড এই আইসিস জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
এদিন তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, লিথিয়াম ব্যাটারি, বল বেয়ারিং, মোবাইল চার্জার, বোমা বানানোর যাবতীয় মশলা থরে থরে সাজানো। এইসব উপকরণ দেখে পুলিশের অনুমান, একটি নয়, একাধিক হামলার লক্ষ্যে এগোচ্ছিল এই আইসিস জঙ্গি।
advertisement
আবুর বাবা কাফিল আহমেদ এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন সংবাদমাধ্যমের সামনে। কাফিল আহমেদ বলেন, "আমার ছেলে এই ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকায় আমি লজ্জিত। আমি আগে জানলে কখনই এক ছাদের তলায় ওর সঙ্গে থাকতাম না।"
শনিবার ভোর রাতে দিল্লি পুলিশ খবর পায় রাজধানীতে ঘাঁটি গে়ড়েছে আবু ইউসুফ। নাশকতা চালাতে পারে সে, এমন খবরও মেলে। তড়িঘড়ি দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল, রিজ রো়ড ঘিরে ফেলে। ক্রমেই বৃত্ত ছোট করতে করতে কারোল বাগ এবং ধালুয়া কাউনের মাঝামাঝি এনকাউন্টার শুরু হয়। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে আবু ইউসুফ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশ তাকে কোনঠাসা করে ফেলে। তার কাছে ব্যাপক পরিমানে আইইডি বিস্ফোরক ও পিস্তল উদ্ধার হয়েছে।সূত্রের খবর, প্রেশার কুকারে প্রায় ১৫ কেজি আইইডি বিস্ফোরক মজুত করেছিল এই জঙ্গি।